প্রতিবদেন : রাজ্য প্রশাসনের যোগাযোগে বাংলার পাঁচ শ্রমিককে ছাড়ল ওড়িশার পুলিশ। এই খবর পেতেই বীরভূমের নলহাটির পাঁচ শ্রমিকের পরিবার ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এখনই বাড়ি ফিরছেন না পাঁচ শ্রমিক নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ভগলদিঘি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আলিম শেখ, সেলিম শেখ, মনিরুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও নুর আলম। পাঁচদিন থানায় হাজিরা দিতে হবে। বাংলায় কথা বলায় বিজেপির রাজ্যে হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁদের। বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে যায় ওড়িশার পুলিশ! শুধু তা-ই নয়, অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে নির্বিচারে ওই শ্রমিকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওড়িশার পুলিশের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র নিয়ে বাড়তি ব্যবস্থা পুরসভার
তাঁদের পরিবারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ২৫ জন ওড়িশায় কর্মরত। আগরপাড়া এলাকায় তাঁরা ঘরভাড়া করে থাকেন। শনিবার তাঁদের ভদ্রকের আগরপাড়া থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরা থানায় গেলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তকমা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভারতের বৈধ নাগরিক হিসেবে শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে থাকা ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড পুলিশকে দেখান। কিন্তু তারপরও তাঁদের ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। ওই পাঁচ শ্রমিককে একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ভিনরাজ্যে হেনস্থার শিকার হওয়া শ্রমিকদের ওপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে ইসলামপুরের শ্রমিককে। উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে চলেছে অত্যাচার। দিন কয়েক আগেও বাঁকুড়ার কয়েকজন শ্রমিককে ওড়িশায় আটকে রেখে মারধর করা হয়। এসব ভেবে প্রবল দুশ্চিন্তায় ওই শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব শ্রমিক পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন।

