সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর : মল্লরাজাদের রাজধানী বিষ্ণুপুরে পোড়ামাটির হাটে জোরশ্রেণির মন্দিরের পাদদেশে হল পিঠেপুলি উৎসব। মোট ৩০টি স্টলে ১০০-র বেশি ধরনের পিঠে ছিল। দুধপুলি, পাটিসাপটা, গড়গড়ি, ক্ষীরের পিঠে, মাংসের পিঠে, মুগডালের রসভরা, চিংড়ি মাছের ভাপাপিঠে ইত্যাদি। একের পর এক গানে মঞ্চ মাতালেন বিষ্ণুপুরের এসডিপিও, আইসি। সঙ্গে মহকুমা শাসকও।
আরও পড়ুন-উন্নয়নমূলক প্রকল্প বার্ষিক রিপোর্ট কার্ড দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী
এসডিপিও বদলি হয়ে যাচ্ছেন কাকদ্বীপে এবং আইসি পুরুলিয়ায়। মন্দির শহরকে ভালবেসে ফেলেছিলেন তাঁরা, তাই যাওয়ার আগে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেেলন। একের পর এক গান গেয়ে মঞ্চ মাতালেন। পুলিশ কর্তাদের গান শুনে উচ্ছ্বসিত এলাকার মানুষ। ৩৮তম বিষ্ণুপুর মেলা হল এবার। পর্যটন শিল্পের প্রসার, হস্তশিল্পের প্রদর্শন, বিপণন ও বিকাশ, লোকসংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে মেলার শুরু হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। মেলায় যদুভট্ট, রামানন্দ, গোপেশ্বর ও রাধামোহন মঞ্চ ছিল। সাতদিন জেলা তথা রাজ্যের বহু শিল্পী অংশ নেবেন। হবে আদিবাসী ফ্যাশন শো। মোট ৮৭৬টি স্টল থাকবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার, ১০৭ সিসিটিভি ক্যামেরা দুটি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। থাকবে মহিলা পুলিশের উইনার টিম।

