দেশের মডেল বাংলা: ১৪ বছরে ২ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান, ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

আগামী বছর মে মাস ১৫ বছর পূর্ণ করবে বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার (Mamata Banerjee_West Bengal Government)। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১৪ বছরেক উন্নয়নের খতিয়ান ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, বাংলা এখন গোটা দেশের মডেল। ১৪ বছরে ২ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে এরাজ্যে। ১০ বছরে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার, নবান্নে রাজ্য সরকারের (Mamata Banerjee_West Bengal Government) গত ১৪ বছরের ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, এতে আরও কিছু সংযোজন হবে। সেটা হওয়ার পরেই সেটা সংবাদ মাধ্যমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মমতার কথায়, “আগামীএলে আমাদের সরকারের হবে। এই সাড়ে ১৪ বছরে আমাদের সরকার কী কী কাজ করেছে, তা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমরা রাজ্যবাসীর কাছে দায়বদ্ধ।”

এর পরে খতিয়ান তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে আমরা দারিদ্রসীমার উপরে তুলে এনেছি। ১৪ বছরে রাজ্যে ২ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। সারা দেশে আমরা বেকারত্ব হার আমরা ৪০ শতাংশ কমিয়েছে।

এর পরে কর্মস্থানে ভাগ করে মমতা বলেন, “ক্ষুদ্র শিল্পে রাজ্যে ১ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি কর্মসংস্থান। মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র শিল্প এ রাজ্য়েই দেশের মধ্যে সর্বাধিক। ১২ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী চালু করেছি। ২০১১ সালের তুলনায় কর আদায় বেড়েছে ৫.৩১ গুণ। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে ৯.১৬ গুণ। বাংলা এখন সারা দেশের মডেল।” রাজ্যে ৬টি অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, “এখানে আরও এক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।” দেউচা পাচামিতেও ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে, আশ্বাস মমতার।

আরও পড়ুন-বাংলার গৌরবোজ্জ্বল ১৫ বছর: উন্নয়নের পাঁচালি গাইলেন, ইমনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-কন্যাশ্রী-রূপশ্রীর খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, রাজ্যে ২ কোটি ২১ লক্ষ পরিবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছে। ১ কোটি ছাত্রীকে দেওয়া হচ্ছে কন্যাশ্রী। রূপশ্রীর আওতায় ২২ লক্ষ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতেও বাজেট ৬ গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। ২ কোটি ৪৫ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথী দেওয়া হচ্ছে। আবাস যোজনায় ৬৭ লক্ষ ৬৯ হাজার বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। মোট ১ কোটি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে মেট্রোর কোচ, লোকাল কোচ, ভারী যন্ত্রপাতি, জাহাজ তৈরি হচ্ছে। সিমেন্ট, ইস্পাত কারখানার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে রাজ্যে কাজ করছেন এক কোটি ৩০ লক্ষের বেশি মানুষ কাজ করছেন। ৪২ লক্ষ ছেলেমেয়েকে স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।”

বিশেষভাবে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রাজ্যের ১০ বছরে এক কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে আনা হয়েছে। তবে, এই পরিসংখ্যানে আরও সংযোজন হবে। সেটা হওয়ার পরে এই ‘উন্নয়নের পাঁচালি’ দেওয়া হবে সংবাদ মাধ্যমকে।

Latest article