লখনউ: মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে আবার এক বিএলওর অকালমৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশে। মঙ্গলবার সকালে হাথরসে অকালমৃত্যু হল আরও একজন বিএলওর। তিনিও পেশায় শিক্ষক। কমলাকান্ত শর্মা নামে ৪০ বছর বয়সের ওই শিক্ষকের বাড়ি ব্রাহ্মণপুরী এলাকায়। এদিন সকালে বাড়িতে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে যান। জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। গত ৩ দিনে এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশে অন্তত ৩ জন বিএলওর অপমৃত্যু হল।
আরও পড়ুন-অনুপ্রবেশকারী, কড়া অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের
কমলাকান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বুথ লেভেল অফিসারের কাজও করছিলেন তিনি। এই কাজের অতিরিক্ত বোঝা সামলাতে তাঁকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হচ্ছিল। সেইসঙ্গে ছিল প্রবল মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ। নাওয়া-খাওয়া-ঘুমের অবকাশ পাচ্ছিলেন না তিনি। কমলাকান্তের ছেলে বিনায়কের দাবি, তাঁর বাবা কয়েকদিন ধরেই অমানুষিক চাপের মধ্যে ছিলেন।
লক্ষণীয়, গত রবিবারই বিজনৌর জেলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলা বিএলওর। রবিবার রাতে আত্মহত্যা করেন আরও একজন বিএলও। সোমবার মোরাদাবাদে নিজের বাড়িতেই পাওয়া যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। ৪৬ বছরের ওই বিএলও সর্বেশ সিংও ছিলেন পেশায় সহকারী শিক্ষক। আত্মহত্যার আগে একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন তিনি। তাতে কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে বলতে দেখা গিয়েছে, কঠোর পরিশ্রম করার পরেও বিপুল কাজ শেষ করতে পারছেন না তিনি। এরপরে আবার মঙ্গলবার মৃত্যু হল আরও এক শিক্ষক বিএলওর। যোগীরাজ্যে এভাবে একের পর এক বিএলওর মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, বিশেষত শিক্ষকদের মধ্যে। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিক্ষক সংগঠনগুলো। সাধারণ মানুষেরও ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

