মণীশ কীর্তনিয়া, গাজোল: আমি ভোট চাইবার জন্য আসিনি, আপনাদের দুশ্চিন্তা স্মরণ করে পাশে দাঁড়ানোর জন্য এসেছি। এসআইআর-আবহে মালদা থেকে এভাবেই বাংলার মানুষকে ফের আশ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata banerjee)। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কেউ ভয় পাবেন না, ভীত হবেন না। নিশ্চিন্তে থাকুন। এরপরই তাঁর অভয়বার্তা— কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে না। কারও নাম বাদ যাবে না। আমি আছি আপনাদের পাহারাদার হিসাবে। এদিন এসআইআর-ইস্যুতে ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে নেত্রী বলেন, এটা অমিত শাহ করেছে। না মানলে সরকার ফেলে দাও। এটাই উদ্দেশ্য। আমরা লড়ে নেব। রুখে দেব। বাংলাকে দমানো যায় না। হ্যাংলার দল। উন্নয়ন বন্ধ করে এসআইআর করার চক্রান্ত করেছে। এটা বিহার নয় বাংলা। এসআইআর করে বিজেপি নিজের কবর খুঁড়েছে।
বুধবার মালদার গাজোলের ভিড়ে উপচে পড়া জনসভায় আরও একবার এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata banerjee)। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, অমিত শাহ এসআইআর চালু করেছে। আগে হয়েছে নোটবন্দি এবার এসআইআরের নামে ভোটবন্দি করা হচ্ছে। চালাকি করে ভোটের তিন মাস আগে এসআইআর করা হচ্ছে। নির্বাচনের তিন মাস আগে উন্নয়ন বন্ধ করে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে। মানুষ এর জবাব দেবে। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আপনাদের সাহায্যের জন্য আমরা ‘মে আই হেল্প ইউ’ ক্যাম্প চালু করেছি। কারও নাম বাদ যাবে না। আমরা আমাদের দাবি আদায় করে নেব। এই ইস্যুতে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, এর পরেও যদি জরুরি অবস্থা জারির চেষ্টা করা হয়, তাহলে মানুষ ক্ষমা করবে না বলেও গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, আজ দিল্লিতে ক্ষমতায় আছ, কাল থাকবে না।
এদিনের সভা থেকে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, দেশে এখন একটাই কর। জিএসটি। বাংলা থেকে সব টাকা তুলে নিয়ে যায়। বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা মেটাচ্ছে না। সবই দখল করছ, সারা ভারত দখল করেও লজ্জা হয় না। এভাবে জোর করে দখল করলে মানুষ ক্ষমা করবে না। এমনকী ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় বকেয়ার কথাও এদিন ফের তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

