”গুজবে কান দেবেন না!” ওয়াকফ আইন নিয়ে ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার বহরমপুর (Berhampore) স্টেডিয়াম থেকেই জেলার মানুষকে ওয়াকফ আইন নিয়ে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

বৃহস্পতিবার বহরমপুর (Berhampore) স্টেডিয়াম থেকেই জেলার মানুষকে ওয়াকফ আইন নিয়ে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ”বিজেপি আমাকে হিন্দুত্ব শেখাবে না। আমি হিন্দুত্ব জানি। আমরা জগন্নাথধাম করেছি। দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক আমরাই করেছি। রাজ্যে মহাকাল মন্দির হচ্ছে। দুর্গা অঙ্গন তৈরি করছি। কোনটা করিনি? তোমরা কী করেছো? একচোখা, একপক্ষ… তোমাদের ধর্মের মূল কথা হলো, আসল ধর্মকে ভুলিয়ে দাও।”

আরও পড়ুন-দিল্লি-লখনৌ জাতীয় সড়কে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৪ ডাক্তারি পড়ুয়া

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সতর্কবার্তা, ”কোনও কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তি ধর্ম নিয়ে বিভেদ করছে। তাদের বলি ওয়াকফ প্রোপার্টি কেন্দ্র সরকার আইন করেছে বিজেপি। আমরা করিনি। আমরা বারণ করেছি। আমরা যতদিন আছি, কোথায় কোনও ধর্মস্থানে হাত দিতে দেব না। বিজেপির কাছে হিন্দুত্ব শিখব না। কারণ আমরাও হিন্দুত্ব জানি। কালী মন্দির থেকে কনকালী তোল সব করেছি। তোমরা মানুষকে শোষণ কর”। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ২০২৪ সালে অগাস্টে সংসদের ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন । সেই বিলের একাধিক ধারা নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। ওয়াকফের বিরোধিতার পর তথ্যের বিবরণ আপলোড করা নিয়ে আপত্তি করেছেন বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গেই মুর্শিদাবাদের সভা থেকে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, ”সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওয়াকফ নিয়ে আমরা কিছু করিনি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা বিধানসভায় আইন পাশ করেছিলাম, জোর করে অবৈধভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া যাবে না। ৮২ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তির হিসেব আমরা আসার আগেই কেন্দ্রীয় পোর্টালে ছিল। এখন যে পোর্টালে আপলোড করেছি সেটা রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আগে ওয়াকফ বোর্ড আপলোড করত, এখন আপলোড করবে মোতওয়ালিরা। তারপর রাজ্য সরকারকে দেবে। আমরা কোনও ধর্মস্থানে হাত দিতে দেব না। কারও সম্পত্তি কেউ বেদখল করবে না। মিথ্যা প্রচারে কাজ হবে না”।

আরও পড়ুন-পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার ট্রেনি-পাইলটের ঝুলন্ত দেহ

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য পোর্টালে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যে ওয়াকফ সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে নথিভুক্ত করার নির্দেশ জেলাশাসকদের দিয়েছে। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে কী ভাবে বিপুল পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য নথিভুক্ত করা যাবে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। এমতাবস্থায় কোনও ওয়াকফ সম্পত্তিতে কেউ হাত দিতে পারবে না বলে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিলেন কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তির রটনায় কেউ যাতে কান না-দেন।

আরও পড়ুন-সেবাশ্রয়-২ : উপস্থিতি ১৩ হাজার ছাড়াল

তিনি বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে কিছু দুষ্কৃতী গুজব রটাচ্ছে, রাজ্য সরকার কালেক্টরে খতিয়ান নম্বর ১ এ ধর্মীয় স্থানগুলো মসজিদ কবরস্থান হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মিথ্যে কথা। সব ধর্মেই কিছু গদ্দার থাকে, যারা বিজেপির টাকা খেয়ে মিথ্যা প্রচার করে। মনে রাখবেন এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেরিয়ে গিয়েছে। আমার মুখে অন্যের কথা বসানো হচ্ছে। ওদের অনেক টাকা, নোটবন্দির টাকা, চুরির টাকা.. সব টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে একটা করে মালা পরে আসছে! অথচ মানুষের জন্য টাকা নেই। করে লুঠ, আর বলে ঝুট!”

Latest article