প্রতিবেদন : আরও একটা সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবঙ্গল (East Bengal)। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে পাঞ্জাব এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের ছাড়পত্র আদায় করে নিলেন মহম্মদ রশিদরা। তবে মাথা গরম করে লাল কার্ড দেখলেন লাল-হলুদের কোচ অস্কার ব্রুজো। তিনি রবিবাসরীয় ফাইনালে ডাগআউটে বসতে পারবেন না।
প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় পর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে তাই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেছেন মিগুয়েল-সাউল-মহেশরা। বরং শুরুতে লাল-হলুদ রক্ষণকে বেশ চাপে রেখেছিল পাঞ্জাব। যদিও ১২ মিনিটেই লাল-হলুদকে (East Bengal) এগিয়ে দেন রশিদ। কর্নার থেকে ছিটকে আসা বল পেয়ে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ডান পায়ের গড়ানে শটে পাঞ্জাবের গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন-১০ জনে খেলেও চ্যাম্পিয়ন ডায়মন্ড
যদিও ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ১-১ করে দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি রামিরেজ। নিজেদের বক্সে হ্যান্ডবল করে বিপক্ষেক পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন বিপিন সিং। ওই পেনাল্টি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখেন অস্কার। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়েই অবশ্য ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মিগুয়েলের নেওয়া কর্নার থেকে নিখুঁত হেডে বল জালে জড়ান কেভিন সিবিল্লে। আর এই গোলের পরেই চতুর্থ রেফারির সামনে গিয়ে উল্লাস করে দ্বিতীয় হলুদ তথা লাল কার্ড দেখেন অস্কার।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য অস্কারের ফুটবলাররা অনেক বেশি দাপুটে ফুটবল খেলেছেন। জাপানি স্ট্রাইকার হিরোশি ইবুসুকি একের পর এক সুযোগ নষ্ট না করলে, ম্যাচটা আরও বড় ব্যবধানে জিততেই পারত লাল-হলুদ। অবশেষে ৭১ মিনিটে মিগুয়েলের পাস থেকে বল পেয়ে দুরন্ত শটে ৩-১ করেন সাউল ক্রেসপো। শুরুর জড়তা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেললেন মিগুয়েল। লাল-হলুদের প্রায় প্রতিটি আক্রমণেরই উৎস ছিলেন ব্রাজিলীয় প্লে-মেকার। গোটা মাঠ চষে বেড়ালেন আরেক বিদেশি মিডফিল্ডার রশিদও। তাঁর নিখুঁত স্ন্যাচিং পাঞ্জাবের বেশি কিছু আক্রমণ ভোঁতা করে দেয়।
২০২৪ সালে শেষবার সুপার কাপের ফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবার ওড়িশা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। সেবার কোচ ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাদ। এবার কি অস্কার পারবেন কুয়াদ্রাতের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠতে! সুপার কাপ জিততে পারলে ফের এএফসি-র দরজা খুলে যাবে ইস্টবেঙ্গলের সামনে।

