সোনালি কীভাবে বিদেশি? বলুক এবার বিজেপি

Must read

প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে তৃণমূলের (Sonali Khatun_TMC)। সংহতি দিবসে স্পষ্ট বার্তা দিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখার পাশাপাশি জাতিবিদ্বেষ ভুলে সকলকে এক হওয়ার ডাক দেন তাঁরা। অর্থ ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সোনালি বিবির প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বীরভূমের পাইকড়ের বাসিন্দা সোনালি খাতুনকে (Sonali Khatun_TMC) সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে, জোর করে চোখ বেঁধে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ সোনালির কাছে সমস্ত বৈধ নথিপত্র, বাবার ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম এবং আধার কার্ড ছিল। হাস্যকরভাবে, ২০০০ সালে জন্ম নেওয়া সোনালিকে কেন্দ্রের মোদি সরকার অভিযুক্ত করেছিল ১৯৯৮ সালে অনুপ্রবেশ করার জন্য। তাঁর কথায়, ন্যায়কে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না, তা সূর্যের আলোর মতো একদিন সামনে আসবেই। ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে বিজেপি যেভাবে দ্বিচারিতা করছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। বলেন, বিজেপি নেতারা যখন কথায় কথায় অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হন, তখন তাঁদের দলের নেতাদেরই কেন দু’দেশের নাগরিকত্ব থাকে? তিনি স্বরূপনগরের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষচন্দ্র মণ্ডলের উদাহরণ টেনে বলেন, এই নেতার ভারতে যেমন ভোটার কার্ড রয়েছে, তেমনই বাংলাদেশে সাতক্ষীরা জেলাতেও সুভাষ মণ্ডল নামে ভোটার কার্ড রয়েছে। একই ব্যক্তি দু’দেশের নাগরিক হয়ে কীভাবে ভারতের নির্বাচনে লড়াই করেন এবং জেতেন, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাব চায় তৃণমূল।

আরও পড়ুন- বঞ্চনা : সংসদে লড়াই আরও জোরদার

Latest article