সংবাদদাতা, দিঘা : উত্তুরে হাওয়াকে সঙ্গে নিয়ে শীতের আগমনি বার্তা যেন প্রকৃতিতে শীতল আভা বয়ে আনছে। গায়ে গরম চাদরের পাশাপাশি নলেনগুড়ের সুগন্ধি ভরিয়ে তুলছে পরিবেশ। সেই সঙ্গে বাড়তি আকর্ষণ এখন শীতের অতিথিদের আগমন। সমুদ্রশহর দিঘার প্রবেশদ্বারের কাছে মেরিন ড্রাইভ লাগোয়া প্রায় ৫০ হেক্টর জায়গায় অবস্থিত বিশাল জলাশয় এখন পাখিদের কলতানে ভরপুর। প্রায় ২ বছর আগে এই মৎস্যখামার সংস্কারের জন্য পাখিরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এ বছর নভেম্বর থেকেই ফের শীতের অতিথিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠছে মৎস্যখামারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। পর্যটকরাও অপরূপ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছেন মৎস্যখামার চত্বরে।
আরও পড়ুন-ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নামলেন সপারিষদ পুরপ্রধান সুনীল
মূলত মৎস্যখামারের বন ও জলাধারে নিশিবক, শামুকখোল, পানকৌড়ি, পাতি সরালি, খড় হাঁসের মতো হরেক অতিথি পাখি ডানা ঝাপটাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বিদেশি পরিযায়ী পাখিরও আগমন ঘটেছে এখানে। সারাদিন ডানা ঝাপটানোর পাশাপাশি কখনও কখনও জলের মধ্যে নেমে পড়ছে তারা। খামারের পাশেই একাধিক গাছপালার ডালেই সময় কাটাচ্ছে শীতের অতিথিরা। শীতের পর ফিরে যায় তারা। বর্তমানে শীতের আগমন সম্পূর্ণভাবে ঘটেনি। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আরও অতিথি পাখির আগমন ঘটবে বলে আশাবাদী পরিবেশবিদরা। মৎস্যখামারের প্রোজেক্ট ইনচার্জ বলাইলাল করণ বলেন, শীতের সময় মূলত এই সমস্ত পাখিদের আনাগোনা বাড়ে। তাই চোরাশিকারিদের উপদ্রব রুখতে সর্বক্ষণ নজরদারি চলে। এছাড়াও বাইরে থেকে কেউ পাখি দেখতে এলে ভেতরে প্রবেশে নিষেধ জারি রয়েছে। বাইরে থেকেই উপভোগ করতে হবে তাদের। কাঁথির রেঞ্জ অফিসার অতুলপ্রসাদ দে বলেন, তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হলে আরও অতিথি পাখির আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে।

