সৌমেন্দু দে, বীরভূম: আমার সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তার নামকরণ করুন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী৷ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আবেদন সোনালি বিবির৷ শুক্রবার রাতে মালদহ দিয়ে ভারতে প্রবেশ ১৬২ দিন পর৷ সেখান থেকে শনিবার দুপুরে বীরভূমের পাইকরে নিজের গ্রামে ফিরলেন সোনালি৷ ফিরেই জড়িয়ে নিলেন মেয়েকে৷ বাবা-মা এবং পড়শিরাও আবেগে বিহ্বল৷ বাড়ির কাছে জমে গিয়েছে ভিড়৷ অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামলেন সোনালি৷ গোটা গ্রামের মানুষ যেন একবার ছুঁতে চাইছে সোনালিকে৷
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বাড়িতে ফিরে সোনালি বলছিলেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ৷ খুব কষ্টে ছিলাম৷ জেল থেকে শুরু করে জামিনের পরেও বিভীষিকা কাটতে চাইছে না৷ তবে আমাদের ভরসা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর উপর৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর৷ তাঁরা যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার ঋণ কোনওকালেই শোধ করা যাবে না৷ এবং অবশ্যই বলতে হবে সাংসদ সামিরুল ইসলামের কথা৷ একেবারে পরিজনের মতো পাশে থেকেছেন৷ ওঁকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ কথা প্রসঙ্গে দিল্লির অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন সোনালি৷ ওদের মতো অমানবিক কেউ হয় না৷ বাংলায় কথা বলছি শুনে আমাদের তুলে নিয়ে গেল৷ বারবার অনুরোধ করেছিলাম৷ কার্ড দেখিয়েছিলাম৷ কিন্তু ওরা শোনেনি৷ বিএসএফকে দিয়ে পাঠিয়ে দিল৷ আর কোনওদিন কাজ করতে দিল্লিতে যাব না৷ বাংলাতেই থাকব৷ দিদির উপর আমাদের অনেক আশা এবং ভরসা৷ সোনালি বললেন, এবার অপেক্ষায় আছি বাংলাদেশ থেকে কবে আমার পরিজনরা ফিরবেন৷ ওঁরা এলে তবেই বাড়ি ফেরার আনন্দ পরিপূর্ণ হবে৷

