কেন্দ্র জানা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়নি। সাধারণ মানুষ এর জন্য ভুগছে। কেন্দ্রের সরকার মানুষের কথা ভাবে না। ফলে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে সাধারণ মানুষকে ঠেলে দিয়েছে কেন্দ্রের সরকার। কোচবিহার সফরের আগে কলকাতা বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে বিমান যাত্রীদের দুর্ভোগ নিয়ে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। বাংলার সরকার মানুষের কথা ভাবে। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কেন্দ্রের সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-”যারা বাংলা বিরোধী তাঁদের সাথে আমি নেই” বিমানবন্দর থেকে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
বর্তমান ইন্ডিগো-বিপর্যয় পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের তৃণমূল কর্মী সংগঠনের কর্মীরা সোমবার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। এরপরই এই পরিস্থিতিকে বিপর্যয় দাবি করে মমতা দাবি করেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক সাধারণ মানুষের জন্য বেশীরভাগ বিমান বন্ধ। আর এখন এই বিমানের ভাড়া ৩ হাজার থেকে বেড়ে ৫০ হাজার হয়ে গেছে। একটি বর-কনে রিসেপশনে পৌঁছাতে পারল না। ভিডিওকলে তারা শুভেচ্ছা জানালো। আমি এরকম অচলাবস্থা আগে কখনও দেখিনি। এবং এটা একটা বিপর্যয়।
সাধারণ মানুষের হয়রানি নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এই বিপর্যয় নিয়ে কেন্দ্রের সরকারের আগে থেকে পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। তাহলেই তারা সব নির্দেশ দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে পারত। কীভাবে আপনারা এভাবে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করতে পারেন? এখন সময়ই মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা উড়ান ব্যবহার করেন ব্যবসা, অন্যান্য কারণে। যদি সেই উদ্দেশ্য যদি তাঁদের সফল না হয়। তাঁরা সাত-আট দিন ধরে হেনস্থার শিকার। তাঁরা বিমান বন্দরের ভিতরে অপেক্ষা করে যাচ্ছেন। অত্যন্ত সঙ্গত কারণে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁরা হতাশ, তাঁরা মানসিকভাবে হেনস্থার শিকার, অত্যাচারের শিকার।
আরও পড়ুন-‘বন্দেমাতরম’ আলোচনার আগেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সংসদে প্রতিবাদ, সরব তৃণমূল
বাস্তবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে জনবিরোধী, তার প্রমাণ তুলে ধরে মানুষের দুর্ভোগ স্পষ্ট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের সরকারকে অনুরোধ করবে কিছু একটা পরিকল্পনা করুন যাতে অন্তত অর্ধেক বিমান উড়তে পারে, যত পাইলট রয়েছে তাঁদের নিয়ে আপনাদের ব্যবস্থায় যেমনভাবে সম্ভব। অন্তত বিকল্প কিছু ব্যবস্থা করুন। বলে দিচ্ছেন ট্রেনে করে চলে যান। সেটা সম্ভব? বিমানে যে পথ ২ ঘণ্টায় যেতে পারেবন সেই পথ ২৪-৩৬ ঘণ্টা ধরে যাবে। সেখানেও টিকিট পাবে না, কারণ সেটা অগ্রিম বুকিংয়ের ব্য়াপার।
সেই সঙ্গে তৃণমূল এই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, আমি জানি না তারা কী করছে। দেশের ব্যাপারে তারা আগ্রহী নয়। এই বিজেপি সরকার শুধুমাত্র নিজেদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী। কীভাবে ভোট, ইভিএম মেশিন, নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে মুঠোয় ভরবে তা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু তারা সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবে না। আমরা মানুষের কথা ভাবি। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
আরও পড়ুন-৫ বছরে বন্ধ হয়েছে ২ লক্ষের বেশি বেসরকারি সংস্থা
সাধারণ মানুষ যেভাবে হয়রানির শিকার, তাতে কেন্দ্রের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণের বার্তা দিয়ে মমতা দাবি করেন, কিন্তু ১৫-২০ দিন আগে থেকে এটা নিয়ে পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। ওদের কাছে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সময় বেশি রয়েছে। কিন্তু দেশের ভিতরে কী চলছে সেটা দেখার সময় নেই। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যে। যে মানুষগুলির লোকসান হয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। যাত্রীরা বিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন।

