প্রতিবেদন : দেশের সংবিধান নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেছে বিজেপি! ভারতের সংবিধান যেখানে সমস্তরকম ভেদাভেদের বিরুদ্ধে সকলের সমান অধিকারের কথা বলেছে, মোদি-শাহের সরকার সেই অধিকার কেড়ে নতুন করে সংবিধান তৈরি করতে চাইছে। তাই দেশের সংবিধানকে রক্ষা করার দাবিতে পথে নামল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মঙ্গলবার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে শামিল হলেন মহিলা তৃণমূলের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, শিউলি সাহা-সহ শহর কলকাতার মহিলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিছিল শেষে মশালের আগুনকে সাক্ষী রেখে সংবিধানকে রক্ষা করার লড়াইয়ে জোট বাঁধার শপথ নেন মহিলা তৃণমূলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের হস্তক্ষেপে আবার ছন্দে বাগরাকোট চা-বাগান
মিছিল শেষে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সংবিধান তৈরির জন্য যে গণপরিষদ তৈরি হয়েছিল, ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর সেই গণপরিষদের প্রথম বৈঠক হয়। সেই গণপরিষদে ১৫ জনই ছিলেন মহিলা! অর্থাৎ মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া তখন থেকেই সংবিধানপ্রণেতাদের চিন্তাধারায় ছিল। ধর্ম-জাতি-শ্রেণির নিরিখে কোনও বিভাজন-বৈষম্য নয়, এটা সংবিধানের নিদান। কিন্তু আজকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই সংবিধানকে পাল্টে নতুন করে সংবিধান লেখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সংবিধানের শপথ নিয়ে সরকারে বসে এখন সেই সংবিধানকেই আক্রমণ করছে বিজেপি। সেই সংবিধানকে রক্ষার শপথ নিতেই আজকে আমরা পথে নেমেছি। জোট বাঁধো, তৈরি হও; বাংলার অধিকার রক্ষার শপথ নাও!
বিজেপিকে আক্রমণ করে চন্দ্রিমা আরও বলেন, ভারতের স্বাধীনতার সঙ্গে আপনাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই আপনারা কিছুই জানেন না। সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের কথা জানেন না। মনীষীদের কীভাবে সম্বোধন করতে হয় জানেন না। কখনও বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘দাদা’ বলছেন, কখনও ‘বঙ্কিমদাস’ বলছেন, কখনও মাস্টারদাকে শুধু মাস্টার বলছেন! আর কত? এরপর তো ঈশ্বরচন্দ্র ‘ঈশ্বরকাকু’ হয়ে যাবেন, সুভাষচন্দ্র বসু আবার ‘সুভাষ ভাইয়া’ হয়ে যাবেন! এরা সবাই বাংলার সন্তান। মনে রাখবেন, বাংলাই দেশকে ‘জনগনমন’ দিয়েছে, ‘বন্দে মাতরম’ দিয়েছে, ‘জয়হিন্দ’ দিয়েছে! তাই বাংলার অধিকারকে কোনওভাবে খর্ব করা যাবে না। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের লড়াই চলবে। তিন-তিনবার নবান্নে গিয়েছে হাওয়াই চটি, ছাব্বিশেও হাওয়াই চটিকেই সমর্থন জানাবে বাংলার মানুষ।

