সোমবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে শীতকালীন অধিবেশন (winter session)। কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে এবার সংসদে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূল কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিক্ষোভে শামিল হয়েছে বিরোধীরাও। প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার জন্য কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে? লক্ষ মানুষের একটাই প্রশ্ন, আমাদের পাওনা বেতন কোথায়? ২ বছর আগে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি কোন কোনও সদুত্তর আসেনি। এই মর্মে আজ সংসদে অভিনব পদ্ধতিতে মৌন প্রতিবাদ দেখালেন তৃণমূল সাংসদরা।
আরও পড়ুন-বড়দিনের আগেই তুষারপাতের পূর্বাভাসে শৈলশহরে বাড়ল বুকিং
বৃহস্পতিবারও বকেয়া টাকার দাবিতে লোকসভায় প্রতিবাদ জানান তৃণমূল সাংসদেরা৷ এদিন দলের সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায় লোকসভায় জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ইস্যু তুলে সোচ্চার হন৷ কোন খাতে বাংলার কত টাকা বকেয়া, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে অবিলম্বে বকেয়া দেওয়ার দাবি জানান তিনি৷ বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও রাজ্যে মনরেগার ১০০ দিনের কাজ শুরু করেনি কেন্দ্র। পাশাপাশি বকেয়া রয়েছে বাংলার ন্যায্য টাকাও৷ বাংলার ৫৯ লক্ষ শ্রমিকের সঙ্গে যেভাবে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে মোদি সরকার, তা নিতান্তই দুর্ভাগ্যজনক লোকসভায় দাবি জানান বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷
সৌগত রায়ের সুরেই বাংলার বকেয়া নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা করেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ৷ তাঁর দাবি, জমিদারি মানসিকতা নিয়ে চলছে মোদি সরকার৷ তারা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানছে না। আসলে এই সরকার বাংলা-বিরোধী৷ বাংলার শ্রমিকদের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া হোক, বাংলার বকেয়া অবিলম্বে মেটানো হোক৷ এদিনও সংসদ-চত্বরে বকেয়া ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদেরা৷ বকেয়া-সংবলিত পোস্টার নিয়ে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ বিক্ষোভে অংশ নেন শতাব্দী রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মালা রায়, মিতালি বাগ, প্রতিমা মণ্ডল, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগরিকা ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বাপি হালদার-সহ অন্যেরা৷

