যুবভারতীতে বিশ্বজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা। মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে (Lionel Messi_Satadru Dutta) গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। শনিবার, এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajiv Kumar), এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম (Javed Shamim)। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস। একই সঙ্গে দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ডিজি। কলকাতা বিমানবন্দর (Airport) থেকেই শতদ্রুকে (Lionel Messi_Satadru Dutta) গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার ভোর থেকে মেসি জ্বরে কাঁপছিল কলকাতা। G.O.A.T.-এর সফর ঘিরে মাঝ ডিসেম্বরের সকাল ফুটছিল। তিনি স্টেডিয়ামে এলেন। কিন্তু দেখা দিলেন না সেভাবে। সেই কারণে আর জয় করাও হল না। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে একঝলকও ঠিক করে মেসিকে দেখতে পাননি দর্শকরা। নিরাপত্তা বলয়, মঞ্চের অবস্থান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ঘেরাটোপে ফুটবলের রাজপুত্রকে দেখাই যায়নি। মাঠে মেসির উপস্থিতি ছিল মাত্র ১৯ মিনিট। না মাঠ প্রদক্ষিণ, না পেনাল্টি শট- কিছু করানো হল না মেসিকে। ফলে মেসি মাঠ ছাড়তেই দর্শকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। চেয়ার ভেঙে ছোড়া হয় মাঠে। বোতল, জুতো ছোড়া হয়। ভাঙা হয় হোডিং, সাউন্ড বক্স। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় যুবভারতী। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ।
এই ঘটনার পরেই প্রকাশ্যে মেসির কাছে ক্ষমা চান এবং গোটা ঘটনার জন্য অব্যবস্থাকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রশাসনিক স্তরে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব কুমার জানান, “এই ধরনের বড় ইভেন্টে যে ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন, তা ছিল না। আয়োজকদের গাফিলতির কারণেই পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়।“ তিনি প্রথমে জানান, মূল আয়োজককে আটক করা হয়েছে। তাঁরা লিখিতভাবে জানাবেন কীভাবে দর্শকদের টাকা ফেরত বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তদন্ত শেষ হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জাভেদ শামিম জানান, “যুবভারতী এবং সংলগ্ন এলাকায় পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। এবার গোটা ঘটনায় শুরু হবে তদন্ত। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টিকিটের দাম দর্শকদের কীভাবে ফেরত দেওয়া যায়, সেই চিন্তাভাবনা চলছে।”

