কেরলের স্থানীয় নির্বাচনে ভরাডুবি হল বামপন্থীদের

কেরলের পঞ্চায়েত, পুরসভা ও কর্পোরেশন নির্বাচনে সিপিএম নেতৃত্বাধীন শাসক জোট বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)-এর চরম ভরাডুবি হয়েছে।

Must read

তিরুবনন্তপুরম: বাংলায় যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলের বিরোধিতা করে বামেরা, কেরলে ধাক্কা তাদের কাছেই। কেরলের পঞ্চায়েত, পুরসভা ও কর্পোরেশন নির্বাচনে সিপিএম নেতৃত্বাধীন শাসক জোট বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)-এর চরম ভরাডুবি হয়েছে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজয়নের দলের জন্য বিরাট ধাক্কা। এই নির্বাচনে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নজরকাড়া (ইউডিএফ) সাফল্য পেয়েছে। ইউডিএফ ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪৯৪টি, ১৫২টি ব্লক পঞ্চায়েতের ৮১টি, ১৪টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি, ৮৭টি পুরসভার মধ্যে ৫৪টি এবং ৬টি কর্পোরেশনের মধ্যে ৪টিতে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন এলডিএফ জোট গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৪৮টি, ব্লক পঞ্চায়েতে ৬৩টি, জেলা পঞ্চায়েতে ৭টি, ২৮টি পুরসভা এবং ১টি কর্পোরেশনে জয়লাভ করেছে।

আরও পড়ুন-মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্পের অন্যায্য ভারত-শুল্ক বাতিলের প্রস্তাব

এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত, কেরলে ভোটাররা ক্ষমতাসীন জোটের বিরুদ্ধে পুরোপুরি চলে গিয়েছেন এবং বিরোধী দল ইউডিএফ রাজ্যের মানুষের সমর্থন লাভে সফল হয়েছে। এই ফল বাংলায় কংগ্রেস-বাম জোটের সুবিধাবাদী নীতি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এদিকে, ইউডিএফের এই সাফল্যের মধ্যেও একটি অপ্রত্যাশিত মোড় এসেছে দলের শীর্ষনেতা সাংসদ শশী থারুরের কেন্দ্রে। কারণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ১০১টি আসনের মধ্যে ৫০টি আসনে জয়লাভ করে এই প্রথম সেখানে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। এই ঘটনা একইসাথে বাম ও কংগ্রেসের অন্দরেই আলোড়ন তুলেছে। গত ৪৫ বছর ধরে সিপিএম এই কর্পোরেশন দখলে রেখেছিল। গত বছর দক্ষিণের রাজ্যে বিজেপি তাদের প্রথম লোকসভা আসন জেতে এবং তাদের সেখানে মাত্র একজন বিধায়ক রয়েছে। রাজধানী তিরুবনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্রে ২০০৯ সাল থেকে টানা চারবার কংগ্রেসের শশী থারুর জিতেছেন। অন্যদিকে, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনটি বামেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। বাম-কংগ্রেসের শক্তিশালী কেন্দ্রে এই নির্বাচনে এনডিএ ৫০টি, এলডিএফ ২৯টি এবং ইউডিএফ ১৯টি আসন জিতেছে, বাকি দুটি আসন গেছে নির্দলদের ঝুলিতে। এই ঘটনা বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে বাম-কংগ্রেসের যোগ্যতা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল।

Latest article