প্রতিবেদন : বাংলা তথা দেশের গর্ব যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। লিওনেল মেসিকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভ, যন্ত্রণায় সেই গর্বের মিনারে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছেন অনুরাগীরা। দর্শক-তাণ্ডবে যে ক্ষতি হয়েছে স্টেডিয়ামের, তার দায় কে নেবে? আয়োজকদের কাছে কি ক্ষতিপূরণ দাবি করবে রাজ্য সরকার? বাঙালির সাধের যুবভারতীকে ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে অন্তত ৪-৬ মাস সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-কেরলের স্থানীয় নির্বাচনে ভরাডুবি হল বামপন্থীদের
চলতি বছরের আইএসএল শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। আইএসএল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেই। সেটা হলে এবার লিগের ম্যাচ যুবভারতীতে আয়োজন করা কঠিন হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এদিনের ঘটনার পর স্টেডিয়ামের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এখন আমি কোনও কথা বলব না। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এই ঘটনার দায় নিচ্ছে না। এআইএফএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কলকাতায় লিও মেসির ইভেন্ট ব্যক্তিগত উদ্যোগে হয়েছে। অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে ফেডারেশন জড়িত ছিল না। উদ্যোক্তারা তাদের কাছে ছাড়পত্রও চায়নি। আইএফএ-র বক্তব্যও তাই।
সাম্প্রতিক অতীতে যুবভারতীর এই ছবি দেখা যায়নি। ১৯৮০-র ইডেনে পদপিষ্টে ১৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর ১৯৮৮ সালে একটি ডার্বিতে ঝামেলায় গ্যালারির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এরপর ১৯৯০ সালেও আইএফএ শিল্ডের একটি ম্যাচে একই ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ডার্বিতে দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের দল তুলে নেওয়ার ঘটনা এখনও টাটকা অনেকের কাছেই। সেদিনও সমর্থকদের ক্ষোভের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গ্যালারি।

