সংবাদদাতা, বারাসত : স্পা সেন্টারের আড়ালে চলত দেহব্যবসা। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া। এদিন তিনি বলেন, মোটা টাকার বিনিময়ে নারী-পাচার (Women-trafficking) করা হত এই স্পা সেন্টার থেকে। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা ও যুবতীদের পাচার করা হত। পুলিশ সুপার জানান, অশোকনগরে অপহৃত এক নাবালিকাকে উদ্ধার-সহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়।
চলতি মাসে এক নাবালিকা অপহরণের মামলায় তদন্তে নেমে অশোকনগর এবং বারাসত থানার যৌথ তল্লাশিতে গ্রেফতার স্পা সেন্টারের মালিক-সহ একাধিক মিডিলম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় একাধিক নাবালিকা ও যুবতীকে। জানা গেছে, মোটা অঙ্কের টাকার কাজের প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাদের (Women-trafficking) টার্গেট করা হত। দিনের পর দিন দেহব্যবসার কাজ করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের বিক্রি হত ভিন রাজ্যে।
আরও পড়ুন- কমিশনের তালিকায় জীবিত কাউন্সিলর হলেন মৃত! প্রতিবাদ করলেন শ্মশানে গিয়ে
স্পা সেন্টারের মালিক স্মাইল দর্জি এবং নিতু সিং-কে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সুপারের দাবি, আর্থিক সমস্যা, বাড়িতে নির্যাতিত নাবালিকা, যুবতীকে এরা কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টার্গেট করত। তারপর তাদের ভিন রাজ্যে বিক্রি করা হত। পাশাপাশি আরও বেশকিছু স্পা-র খোঁজ পেয়েছে পুলিশ, সেগুলিতেও হানা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে জেলা জুড়ে চলা স্পাগুলির অনুমতি, কাগজপত্রের উপর নজরদারি বাড়ানো হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

