প্রতিবেদন : মঙ্গলবার নবান্নে জয়রামবাটি-কামালপুকুর ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রামকৃষ্ণদেবের কামারপুকুর এবং সারদামায়ের জয়রামবাটি বাংলার মানুষের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। বিগত ১৫ বছরে টানা উন্নয়ন হয়েছে এই দুটি এলাকায়। এলাকা দুটির উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও রূপায়ণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী গত সেপ্টেম্বর মাসে বোর্ড তৈরি করে ১০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেন। আগামী দিনে এই বোর্ড দুটি এলাকার উন্নয়নে আরও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) এদিন বৈঠকে জানান।
আরও পড়ুন: সার-এফআইআর যাই হোক, আসন বাড়বে : অভিষেক
কামারপুকুরের উন্নয়নের জন্য আগেই প্রায় ৮০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে রাজ্য সরকার। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ, ৫ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কামারপুকুরের পর্যটন পরিকাঠামো নির্মাণ, ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে কামারপুকুর ব্লক প্রাইমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মানোন্নয়ন, প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে কামারপুকুর বাস স্ট্যান্ড, কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ব্লক প্রাইমারি হেলথ্ ইউনিট, কামারপুকুরে ইকোট্যুরিজম পার্ক, কামারপুকুর মিশনে হস্টেল বিল্ডিং-সহ আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। জয়রামবাটিতে মাতৃমন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অনুরোধে সম্প্রতি সেখানে একটি ৫ তলা গেস্ট হাউস, এরই সঙ্গে প্রসাদ বিতরণ কেন্দ্র করা হয়েছে। প্রায় ১,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে একটি ওপেন পার্কিং জোনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এই দুটি প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ৫ কোটি ৭৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তীর্থক্ষেত্র কামারপুকুর মঠের পবিত্র প্রাঙ্গণে পানীয় জল সরবরাহের উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে আগেই একটি বড় ব্যাসের নলকূপ স্থাপন এবং বণ্টন পাইপলাইনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি এই জল সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও উন্নত করার লক্ষ্যে মঠ প্রাঙ্গণের মধ্যেই একটি ১৫০ মিমি ব্যাসের নতুন গভীর নলকূপ খনন এবং পাম্প হাউস নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

