প্রতিবেদন : বুধবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (Yuba Bharati Krirangan) পরিদর্শন করলেন চার সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট। মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের চার উচ্চপদস্থ আধিকারিক জাভেদ শামিম, সুপ্রতিম সরকার, পীযূষ পাণ্ডে ও মুরলীধর শর্মাকে নিয়ে এই সিট গঠন করা হয়। তাঁরা এদিন সকাল ৯-৪০ নাগাদ যুবভারতীতে যান, গোটা স্টেডিয়াম খুঁটিয়ে দেখেন— কথা বলেন কর্মীদের সঙ্গে। পরে স্টেডিয়াম-সংলগ্ন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের দফতরেও যান সিটের সদস্যরা। কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে তাঁরা বেরিয়ে যান। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁরা অবশ্য কোনও কথা বলেননি। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর শনিবার যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই সিট গঠন করা হয়। একই সঙ্গে মঙ্গলবার ডিজিপি রাজীব কুমার, বিধাননগরের সিপি মুকেশ কুমার, ক্রীড়াসচিব রাজেশ সিনহাকে শো-কজ করে প্রশাসন। তাঁদের আজকের মধ্যে জবাব দিতে হবে। সাসপেন্ড হয়েছেন বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকার। অব্যবস্থার অভিযোগে যুবভারতীর সিইও দেবকুমার নন্দনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, শনিবার যুবভারতীতে (Yuba Bharati Krirangan) ভাঙচুরের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এর ফলে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। ধৃতের নাম রূপক মণ্ডল। বাইপাস লাগোয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, ঘটনার দিন, রূপক নামে ওই যুবক ফেন্সিংয়ের তালা ভেঙে মাঠে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। অন্যদেরও ঢুকতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে সাজা ঘোষণা, যাবজ্জীবন তিন দোষীর

