MSME-তে তিন নয়া সেন্টার বাংলায়, নেতাজি ইনডোরে ব্যবসায়ী সম্মেলনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

প্রতিবেদন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাই বাংলার অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এই শিল্পে বাংলা এখন শীর্ষে। বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MSME_Mamata Banerjee)। বুধবার নেতাজি ইনডোরে ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে গিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা-সহ আরও বেশি করে তাঁদের পাশে থাকার কথা বলেন তিনি। রাজ্যে এই ব্যবসায়ীদের প্রসার বাড়াতে ও আর্থিক-সূচকে এই সেক্টরকে চাঙ্গা করতে তিন নয়া ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে : ১. কলকাতা ও শিলিগুড়িতে ট্রেড এবং এক্সপোর্ট সেন্টার গড়বে রাজ্য, ২. বিজনেস টু বিজনেস হাব। ৩. পশ্চিমবঙ্গ ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড তৈরি করে দিচ্ছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী (MSME_Mamata Banerjee) বলেন, ট্রেডার্স স্থায়ী ও অত্যাধুনিক এক্সপোর্ট সেন্টার থেকে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। বিজনেস হাবগুলি প্রশিক্ষণ-সহ অন্যান্য কাজও করবে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের নানা কার্যকলাপ, সমস্যার সমাধান হবে। প্রতি মাসে বৈঠকে বসে সমস্যার সমাধান করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এখানে ‘সিঙ্গল উইন্ডো ইন্টারফেস’ হবে। যেখানে ব্যবসা-সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নিয়ে এলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। সমস্ত জেলার চেম্বার এতে থাকবে। থাকবেন জেলার ডিএম-এসপি। লাইন ডিপার্টমেন্টও থাকবে। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে নাম পাঠান মুখ্যসচিবের মাধ্যমে। এরপর সাত দিনের মধ্যে বাকি কাজ হয়ে যাবে, স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডস পোর্টাল’ চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এতে দ্রুত কাজের টাকা পাবেন ব্যবসায়ীরা। রেজিস্টার্ড এমএসএমই সংস্থাগুলি কাজ শেষ করার পর এতে তথ্য আপলোড করবেন। ৭২টি ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থা টাকা মেটাবে। সরকার এদের পরে টাকা দেবে।

আরও পড়ুন- ২৫২৫ কোটি প্রাপ্য আটকে: অবিলম্বে বকেয়া দিন, জলশক্তিমন্ত্রীকে তৃণমূল

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বাংলা শীর্ষে। বাংলায় বনধ হয় না সেকথা ব্যবসায়ী ও সংগঠনের নেতৃত্ব বলেছেন। বাংলার এই সেক্টরের তথ্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ লোক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কাজ করেন। ৯৩ লক্ষের বেশি এমএসএমই ইউনিট আছে। ৬৬০টি এমএসএমই ক্লাস্টার ঘোষণা করেছে রাজ্য। গত সাড়ে ১৪ বছরে আড়াই লক্ষ রেজিস্টার্ড সংস্থা ৬টি ইকোনমিক করিডর তৈরি করছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ৩৬টি পণ্যের জিআই ট্যাগ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের যা শিল্পী আছে তাঁদের যা দক্ষতা তাতে ৩৬০০ পণ্যে জিআই ট্যাগ পেতে পারি। এদিনও কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ১ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা পায়। একটা টাকাও দেয়নি। তবুও আমরা সব কাজ করি রাজ্যের টাকায়। বাংলায় ৯৫টি সামাজিক প্রকল্প রয়েছে। ফলে আপনারা এগিয়ে চলুন-স্বপ্ন দেখুন-আমরা আপনাদের পাশে আছি-থাকব।

Latest article