দেশে অবৈধ সিএনজি কিটের তথ্য নেই

নয়াদিল্লি : দেশে অবৈধ সিএনজি কিট (CNG Kit) ব্যবহার নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তবে অবৈধ কিটের তথ্য না থাকলেও গত দুই বছরে দেশে কত গাড়িতে অনুমোদিত সিএনজি কিট (CNG Kit) লাগানো হয়েছে, তার একটি বিস্তারিত পরিসংখ্যান ‘বাহন’ পোর্টালের তথ্যের ভিত্তিতে সংসদে পেশ করেছেন তিনি। সংসদে পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশ জুড়ে মোট ৩,৪৮,৯৫৩টি যানবাহনে অনুমোদিত সিএনজি কিট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে ৩,১৯,৮৭০টি এবং বাণিজ্যিক গাড়ি রয়েছে ২৯,০৮৩টি। অবৈধ কিট বা এই সংক্রান্ত মামলার সংখ্যার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে মন্ত্রী জানান, সরকার মূলত অনুমোদিত কিট স্থাপনের বিষয়টিতেই নজর রাখছে। রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যানের নিরিখে সিএনজি কিট স্থাপনের ক্ষেত্রে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে গুজরাত। সেখানে ১.৫৩ লক্ষেরও বেশি গাড়িতে সিএনজি কিট লাগানো হয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র (৩৯,৬৯৪টি) এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি (২৭,২৯৩টি)। বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশেও যথাক্রমে ২৭,৮৭৫টি এবং ২৮,৭৪১টি গাড়িতে কিট বসানো হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ু (৯,৫০৯টি) ও কেরলে (৮,২৩৯টি) কাজের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন-বায়ুদূষণ মোকাবিলায় ব্যর্থ বিজেপি সরকার, সমালোচনার চাপে সীমান্তে কড়া নজরদারি

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, অনেক ক্ষেত্রে খরচ বাঁচাতে এক শ্রেণির গাড়ি চালক অবৈধ বা নিম্নমানের কিট ব্যবহার করেন, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের কারণ হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত সেন্টার থেকে কিট লাগানোর ওপর জোর দিলেও অবৈধ কিট ব্যবহারের প্রকৃত সংখ্যা কত তার সদুত্তর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।