যুবভারতী-কাণ্ডে গ্রেফতার বেড়ে ৯, শতদ্রুর বাড়িতে তল্লাশি

Must read

প্রতিবেদন : যুবভারতী স্টেডিয়ামে ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় এবার ধৃত শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। শুক্রবার ভোরে রিষড়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাঙুর পার্কে শতদ্রুর বাড়িতে তল্লাশিতে যান বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা। এদিকে, যুবভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনায় বাড়ল গ্রেফতারির সংখ্যা। শুক্রবার সকালে স্টেডিয়াম ভাঙচুরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে যুবভারতী-কাণ্ডে ধৃত বেড়ে হল ৯ জন। অন্যদিকে, ‘গোট কনসার্ট’-এর মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তের (Satadru Dutta) ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম ধরা পড়েছে বলে খবর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে। কোটি কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে বর্তমানে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে ইডি। গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলায় ওইদিনই বিমানবন্দর থেকে আয়োজক শতদ্রু দত্তকে (Satadru Dutta) গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার ইভেন্ট আয়োজন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব সংক্রান্ত একাধিক নথি খতিয়ে দেখতে শতদ্রুর রিষড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালালেন তদন্তকারীরা। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ রিষড়া থানার ৫ আধিকারিককে নিয়ে শতদ্রুর বাড়িতে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার একটি দল। তিনতলা সেই বিলাসবহুল বাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল থেকে ফুটবল মাঠ— সবই। দেখা যায়, বাড়িতে একমাত্র পরিচারিকা ছাড়া কেউ নেই। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি প্রত্যেক ঘরে চলে তল্লাশি। যদিও পুলিশের তরফে কিছুই সিজ করা হয়নি।

আরও পড়ুন-অশান্ত বাংলাদেশ, আক্রান্ত বঙ্গসংস্কৃতি, অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল

এদিকে, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা যুবভারতীর নানা ছবি এবং ভিডিও খতিয়ে দেখে শুক্রবার সকালে লেক টাউন ও নাগেরবাজার এলাকা থেকে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম ঋজু দাস, সৌম্যদীপ দাস এবং তন্ময় দে। এদিনই তাঁদের আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। আবার ইডি সূত্রে খবর, ইভেন্ট আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত শতদ্র দত্তের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একাধিক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ওই বিপুল অঙ্কের টাকা কোত্থেকে এসেছে, কীভাবে ওই অর্থ তোলা হয়েছে এবং কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে— সবদিক খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। যুবভারতী-কাণ্ডে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় রাজ্য পুলিশ দুটি এফআইআর করেছিল। তার ভিত্তিতেই ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও কোটি কোটি টাকা লেনদেনের উৎস যাচাই করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণ মিললে পরবর্তী ধাপে ইসিআইআর দায়ের করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।

Latest article