নীরব মোদি, হতাশ মতুয়ারা, প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার, জবাব তৃণমূলের

মতুয়ারা ভেবেছিলেন তাঁদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের যে ভোটাধিকার নষ্ট হল, প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে কোনও বার্তা দেবেন।

Must read

১. মিথ্যা আবেগের মতুয়া ভজনা
জবাব : মতুয়ারা ভেবেছিলেন তাঁদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের যে ভোটাধিকার নষ্ট হল, প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে কোনও বার্তা দেবেন। বারবার সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুররা বিভিন্ন সময় মানুষকে ভুল বার্তা দিয়েছে। এসআইআরের মধ্য দিয়ে সিএএ ফর্ম পূরণ করে যে বলেছিল নাগরিকত্ব দেবে। দেখা যাচ্ছে যেসব বিধানসভায় মতুয়া সংখ্যা বেশি সেখানেই সব থেকে বেশি শতাংশ নাম বাদ গিয়েছে। এরাই বলেছিল, দেড় কোটি মুসলমানদের খুঁজে বের করে দেবে।

আরও পড়ুন-শতদ্রুর ২২ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল সিট, ফ্রিজ করল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

২. বাংলায় জঙ্গলরাজ!
জবাব : বাংলায় সিপিএম জমানায় জঙ্গলরাজ চলত। দেশে বিজেপির অপশাসনে জঙ্গলরাজ চলছে। বাংলা তৃণমূল শাসনে স্বর্গদ্বার। একাধিকবার কেন্দ্রেরই রিপোর্ট বলছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলার তুলনায় বাংলা এগিয়ে। খুন-ধর্ষণ-ডাকাতি—সবেতেই এক নম্বরে ডাবল ইঞ্জিন। ত্রিপুরা, যোগীরাজ্যের দিকে তাকান।
৩. তৃণমূলের স্নেহে অনুপ্রবেশকারী!
জবাব : অনুপ্রবেশ হয়ে থাকলে তার দায় কার? সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। এই দফতরের দায়িত্বে অমিত শাহ। তিনি ও তাঁর দফতর কী করছিলেন? আর মতুয়াগড়ে এসআইআরে বাদ মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষের নাম। সেই পরিস্থিতিতে রানাঘাটের মানুষের জন্য কী বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মতুয়াদের ভোটাধিকার রক্ষার কী উপায় বলবেন তিনি, তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন নদিয়ার মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি।
৪. কাটমানি-কমিশন!
জবাব : গুজরাতে একের পর এক ব্রিজ ভাঙছে। আপনার রাজ্যের মন্ত্রীর ছেলে গ্রেফতার হচ্ছে একশো দিনের কাজের কেলেঙ্কারিতে। উত্তরপ্রদেশে ভুয়ো জবকার্ডে সব থেকে উপরে নাম। আপনার অর্থাৎ কেন্দ্রের সরকারি দফতরের একের পর এক বিভাগের রিপোর্ট দেখিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সারা ভারতবর্ষের মধ্যে উন্নয়নের বিচারে, মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
৪. প্রকল্প রূপায়ণে বাধা!
জবাব : প্রধানমন্ত্রী বকেয়া নিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি। বললেন, নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করুক তৃণমূল। আমরা উল্টে বলছি, আপনি ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করুন। গণতান্ত্রিক পরিসরে, রাজনৈতিক বিরোধিতা করুন। বিজেপি বাংলার মানুষকে ভাতে মারছে। অসম্মান করছে। বাংলাভাষা যাঁরা বলছেন তাঁদের অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

Latest article