প্রতিবেদন : নৈরাজ্যের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। আর রাজনীতির স্বার্থে ওপার বাংলার হিংসার আগুন এপার বাংলাতেও ছড়াতে চাইছে কিছু শ্রেণির মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কটন মিলের কর্মচারী দীপুচন্দ্র দাসকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে খুন করেছে একদল উন্মত্ত সমাজবিরোধী। সেই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৮ মাস আগে মুর্শিদাবাদে হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দন দাসের মর্মান্তিক মৃত্যুর তুলনা করে সমাজে অশান্তি ছড়ানোর উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে প্রভাবিত না হয়ে বাংলায় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার আবেদন জানাল রাজ্য পুলিশ।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের জয় ছিনিয়ে আনবেন কৃষক-মজদুর ভাইয়েরা: দোলা
এক্স মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের বার্তা, জনশান্তি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের তুলনা অত্যন্ত উসকানিমূলক ও তথ্যগতভাবে বিভ্রান্তিকর। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। পিতা-পুত্রকে খুনের অভিযোগে ১৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একটি শক্তিশালী চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে। খুব শিগগিরই মামলার রায় ঘোষণা হবে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা যেখানে নিজস্ব গতিতে সঠিক পথে এগোচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের ঘটনার সঙ্গে তুলনা টানা নিছকই সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ছড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র! পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রাজ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রাখতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তা ভাঙার যেকোনও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হ্যান্ডেলগুলির উপর আমরা নজর রাখছি। কোনও অপরাধমূলক ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানোর যেকোনও প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাগরিকদের এইসব গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

