নয়াদিল্লি: অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিলই দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। এবার কিন্তু ম্যাজিকের মতো কাজ হল। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে অসম্মান জানিয়ে তাঁর নাম মুছে দিয়ে গায়ের জোরে সংসদে অগণতান্ত্রিক ‘ভি বি জি রামজি’ (ji ram ji bill) নামক গ্রামীণ রোজগার বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে মোদি সরকার৷ এর তিনদিনের মধ্যেই রবিবার এই বিলে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷ এর পরেই নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মোদি সরকারের অভিপ্রায় এবং দেশের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে৷ তারা আদৌ নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কোনও রোজগার পাবেন কি না, সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে৷ বাংলার শ্রমিকদের যাতে এই দুর্দশায় না পড়তে হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আগেই উদ্যোগী হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বাংলায় চালু থাকা কর্মশ্রী প্রকল্পটিকে আরও মজবুত করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি গোটা প্রকল্পের নামকরণ করে দিয়েছেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নামে৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে কর্মশ্রী প্রকল্পটি পরিচিত হবে মহাত্মাশ্রী নামে৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের রোজগার করবে রাজ্য সরকার, তাদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের, ভরসায় থাকতে হবে না, সাফ জানানো হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে৷
মোদি সরকার জি রামজি বিল (ji ram ji bill) তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতির অনূমোদন নিয়ে তীব্রভাবে সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার উপ দলনেতা সাগরিকা ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, বাজেটে এই বিলে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়াই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের লক্ষ্য। জনবিরোধী আইন। এই বিল বাংলাবিরোধী, গরিববিরোধী গণতন্ত্র বিরোধী। এই বিলে মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলে তাঁকে অপমান করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শুরু থেকেই এই বিলকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানায়। কিন্তু সরকার না মেনে সংসদকে ধ্বংস করছে।
আরও পড়ুন-মানববন্ধন বাংলাদেশের রাজপথে

