৮২ শতাংশ অর্থই বিজেপির পকেটে

Must read

নয়াদিল্লি: শীর্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করে নির্বাচনী বন্ডে টাকা তুলছে বিজেপি (shame on BJP)। তথ্য বলছে, এই খাতে আদায় করা মোট অর্থের ৮২ শতাংশই গিয়েছে বিজেপির পকেটে। সুপ্রিম নির্দেশে ২০২৪-এ বন্ধ হয়েছে নির্বাচনী বন্ড। দেশের শীর্ষ আদালত নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়ে দিয়েছে। এরপরেও নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা নেওয়ার কোনও খামতি নেই। এমনকী সুপ্রিম নির্দেশের পরে ২০০ শতাংশ নির্বাচনী বন্ডে বেড়েছে অনুদান। সরকারি তথ্য অনুযায়ী যার শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। মোট অর্থের ৮২ শতাংশ গিয়েছে বিজেপির পকেটে। ২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজনৈতিক দলগুলো মোট অনুদান পেয়েছে ৩৮১১ কোটি টাকা। মোট অর্থের ৮২ শতাংশ গেছে বিজেপির (shame on BJP) পকেটে। এর মধ্যে কংগ্রেস ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো ধারেকাছে নেই। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট, বিজেপির সততা শুধুই লোক দেখানো। ন্যায়নীতি কোনও কিছুই মানে না। এরাই সবথেকে বেশি তঞ্চকতা করে। যে বেসরকারি সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছে তাদের ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে রেড করাচ্ছে। এই ভয়ে বিজেপিকে অনুদান দিতে বাধ্য হচ্ছে এইসব সংস্থা। এছাড়াও বিরোধী দলগুলি যাতে এইসব সংস্থা থেকে কোনও সাহায্য না পায় তার জন্যও হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিজেপি। সরকারি তথ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে কোন রাজনৈতিক দল ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা তুলেছে। কারণ ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৯টি নিবন্ধিত ইলেক্টোরাল ট্রাস্টের হিসেব আছে। এর মধ্যে ১৩টির অনুদান সংক্রান্ত বিবরণের মধ্যে ৯টি ট্রাস্টের অনুদান সংক্রান্ত রিপোর্ট বলছে, তাদের প্রাপ্ত অনুদান ৩৮১১ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালে যেটা ছিল ১২১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই ট্রাস্টের মাধ্যমে অনুদান বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ। মোট ৩৮১১ কোটি টাকা অনুদানের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩১১২ কোটি টাকা। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছে ২০০ কোটি, এবং বাকি দলগুলি মিলিতভাবে পেয়েছে ৪০০ কোটি। বিজেপিকে সবচেয়ে বেশি অনুদান আদায় করে দিয়েছে প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট। এর মধ্যে একাধিক নামকরা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই ট্রাস্ট পেয়েছে ২৬৬৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২১৮০.০৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ সালে বিজেপি মোট ৩,৯৬৭.১৪ কোটি টাকা অনুদান বাবদ পেয়েছিল, যার মধ্যে ১,৬৮৫.৬২ কোটি টাকা অর্থাৎ ৪৩ শতাংশ এসেছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। এরপরেও সততা এবং মূল্যবোধের রাজনীতির কথা বিজেপির নেতারা মুখে আনেন কোন লজ্জায়?

আরও পড়ুন-অবাক কাণ্ড! ৩ দিনেই অনুমোদন পেয়ে গেল বিতর্কিত রামজি বিল

Latest article