নয়াদিল্লি : ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে ২৬ জন ভারতীয়কে। এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৭ জনের। এবং আটকে রয়েছেন ৫০ জন ভারতীয়। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেলের প্রশ্নের জবাবে একথা স্বীকার করেছে কেন্দ্র। একবছরেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ায় সদ্য শেষ হওয়া শীতকালীন অধিবেশনে এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন সাকেত। প্রশ্ন তোলেন সাংসদ রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তারই উত্তরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং জানান, সবসুদ্ধু ২০২ জন ভারতীয়কে নিয়োগ করা হয়েছিল রুশ সেনাবাহিনীতে। দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে ১১৯ জনকে। মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। যে ৫০ জন আটকে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন-মনরেগা প্রকল্পকে হত্যা করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মহিলাদের অধিকার
তবে এই পরিসংখ্যানে আশ্বস্ত হতে পারছেন না সেই পরিবারগুলো, যাঁরা দাবি করছেন যে তাঁদের স্বজনদের প্রতারণার মাধ্যমে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছিল এবং দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের কোনও খোঁজ মিলছে না। রাজ্যসভায় দেওয়া এই তথ্যের বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ আরও ভয়াবহ। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চলতি বছর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের রাশিয়া সফরের পরও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি বলে তাঁদের দাবি। পরিবারগুলোর অভিযোগ, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ১৩ জন নিখোঁজ ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই ‘মৃত’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যদিও ভারত সরকার এখনও অনেক ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করেনি। সরকারিভাবে ১০ জনের মরদেহ দেশে ফেরানো এবং ২ জনের স্থানীয়ভাবে শেষকৃত্যের কথা বলা হলেও, ১৮ জন নিহতের ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছে পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য। অনেক পরিবার দাবি করছে, তাঁদের সন্তানদের ‘বাংলাদেশি’ বা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ভয় দেখিয়ে জোর করে চুক্তিতে স্বাক্ষর করানো হয়েছিল। চাকরির নামে প্রতারণা হয়েছিল।

