বাবা-ছেলে খুনে দোষী সাব্যস্ত ১৩, দ্রুত চার্জশিটে কৃতিত্ব পুলিশের

পুলিশের বড় সাফল্য। ৮ মাসের মাথায় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামের জোড়া খুনের মামলা নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করল জঙ্গিপুর আদালত।

Must read

প্রতিবেদন : পুলিশের বড় সাফল্য। ৮ মাসের মাথায় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামের জোড়া খুনের মামলা নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করল জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত জাফরাবাদ গ্রামে নৃশংসভাবে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং একে একে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। মামলায় টানা ৮ মাস জঙ্গিপুর আদালতে শুনানি চলে। তাতে একাধিক তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে পুলিশ। যাতে মামলার গতি পায়। মামলায় থাকা সমস্ত সাক্ষী, ফরেনসিক রিপোর্ট, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায়। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে, যা মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার রায়দান পর্বে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস খুন মামলায় মোট ১৩ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এদিন এই মামলার রায় ঘোষণা হলেও আজ, মঙ্গলবার সাজা সংক্রান্ত চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

উল্লেখ্য, এদিন রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালত চত্বর ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ প্রশাসন ছিল তৎপর। অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানোর সময়ও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর নিহতদের পরিবার স্বস্তি প্রকাশ করেছে। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। আদালতের এই রায়ে তাঁদের সেই অপেক্ষার অবসান হল বলে জানান তাঁরা। যদিও সাজা কী হবে, তা নিয়ে তাঁদের কৌতূহল এখনও রয়েছে।

Latest article