প্রতিবেদন : বাংলার মানুষের অযথা হেনস্থা, বাড়ি থেকে দূরে হিয়ারিং সেন্টারে পাঠানো, আধার কার্ডকে ১২ নম্বর নথি হিসেবে গ্রাহ্য-সহ একগুচ্ছ দাবি কলকাতায় সিইও দফতরে জানিয়ে এল পাঁচ সদস্যের তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধি দল। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডাঃ শশী পাঁজা, পুলক রায়, সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও বাপি হালদার। ডেপুটেশনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বেশ কিছু মানুষ সমস্যায় পড়ছেন সেই কথা জানিয়েছি। কিছু লোকের নামের বানান ভুল, পদবির ভুল, এগুলোর ক্ষেত্রে হিয়ারিংয়ের নোটিশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া যে ১১টা ডকুমেন্ট বলছে কমিশন কিন্তু ১২ নম্বর হিসাবে আধার কার্ডকে জায়গা দিতে হবে। এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে হবে। হিয়ারিং সেন্টার ৩০-৪০ কিলোমিটার দূর যেতে হবে কেন? মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আমরা বলছি পঞ্চায়েত অফিস, ব্লক অফিস, মিউনিসিপালিটি অফিসে হিয়ারিং করা দরকার। এছাড়া বিএলওদের ওপর অযথা চাপ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁদের বাবা-মা এখানে ফিলআপ করেছেন (গার্জেন হিসেবে) তিনি কীভাবে আসবেন! এতে তো মানুষের চাকরি চলে যাবে! তার জন্য অন্য ব্যবস্থা নিক কমিশন। সব থেকে বড় কথা, বেসলাইন
সার্ভে কীভাবে ৮১টা বিধানসভায় এটা করছেন? সব বিধানসভায় কেন হচ্ছে না এটা? প্রশ্ন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। এখানেই শেষ নয়, দেখা গেছে অনেকে বেঁচে আছে কিন্তু খসড়া তালিকায় তাকে মৃত দেখাচ্ছে। নতুন করে আবার ফর্ম ৬ ফিলআপ করতে হবে এটা অপমান নয়? ভোট দেওয়া রাজ্যবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মানুষকে যেন কষ্ট পেতে না হয়। রাজ্য সরকারি অফিসে না করলে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে করুন। শিফটেড হয়নি কিন্তু শিফটার্ড বলা হচ্ছে। চন্দ্রিমা বলেন, ইসি বলছে, জেলাশাসকদের গিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। এটা কি সম্ভব? এছাড়া বিএলওদের ওপর যখন তখন নানারকম নির্দেশিকা চাপিয়ে দিচ্ছে। ওঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এত জিনিস একসঙ্গে কীভাবে সম্ভব! এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গিয়েছেন। এর দায় কে নেবে? প্রশ্ন প্রতিনিধি দলের। নির্বাচন কমিশনের অফিসটা তো বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে! চন্দ্রিমা বলেন, আমরা সবকিছুই সিইও-কে জানিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। নইলে প্রতিবাদ আরও তীব্র হবে।
সাংবাদিকরা মতুয়াদের ভয় নিয়ে প্রশ্ন করলে পার্থ ভৌমিক বলেন, বিজেপির শান্তনু ঠাকুর এখন বুঝছেন কীভাবে মতুয়া সম্প্রদায়ের ওপর চাপ ডেকে এনেছেন। যার ফলে মতুয়ারা সমস্যায় পড়ছেন।
মানুষের হেনস্থা মানবে না তৃণমূল, শুধু ৮১ বিধানসভায় বেসলাইন সার্ভে কেন?
আধার কার্ডকে ১২ নং নথি হিসেবে গ্রাহ্য করতে হবে

