সাহিত্য অ্যাকাডেমিতে ক্ষমতা কায়েমের চেষ্টা বিজেপির, কড়া নিন্দায় শিক্ষামন্ত্রী

বড়দিন থেকে শুরু হল দমদম বইমেলা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসুর উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে।

Must read

প্রতিবেদন : রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্য একাডেমিতেও নিজেদের লোক ঢুকিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী লিখতে গিয়ে যেমন সমালোচনা নিয়েছেন তেমনই সকলের মতামতকেও প্রাধান্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দমদম বইমেলার উদ্বোধনে বিজেপির ছোট মানসিকতার নিন্দা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে বাংলায় কিভাবে নতুন প্রতিভা ও শিল্পী সাহিত্যিকদের সম্মান এবং তাদের মতামত কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সে কথাও তুলে ধরেন তিনি। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, সাহিত্য একাডেমীর লেখকদের নাম ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে যায়। কিন্তু এবার এখনও হয়নি। বিজেপি এখানেও নিজেদের লোক ঢুকিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। সাহিত্য একাডেমীর কমিটি ভেঙে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি নিয়মিত বই লেখেন। তিনি সমালোচনা নিয়েছেন, শিল্পে সাহিত্যে সবার মতামত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন-তৃণমূল পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি ঘোষণা করা হল

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখানে কেউ কেউ গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু শিল্পের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী চোখ উদার রেখেছেন। সবাই কে সম্মান দিয়েছেন। ভিন্ন মতের একটা পরিসর সবসময় এখানে থেকেছে। ভিন্ন মতের পরিসর বই দিতে পারে, শিল্প দিতে পারে, সংস্কৃতি দিতে পারে। বইমেলা দিতে পারে। বাংলা একাডেমি দু ধরনের মতকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে পারে।
এই বইমেলায় অনেক প্রান্তিক লেখকদের সুযোগ করে দেওয়া হয়।। মন্ত্রী জানান, এমন অনেক লেখক আছেন যারা বহুদিন ধরে লিখছেন কিন্তু তাদের লেখার ব্যাপ্তি ঘটছে না। তেমন লেখকদের এই বইমেলায় সুযোগ করে দেওয়া হয় বই প্রকাশের জন্য। এছাড়াও বইমেলার মূল আয়োজক দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বলেন নতুন কোন লেখক তার বই প্রকাশ করার ইচ্ছে প্রকাশ করলে তাকে যেন সেই সুযোগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-কৃষ্ণনগরে দুটি গির্জায় সমারোহে পালিত বড়দিন, অনুদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ

বড়দিন থেকে শুরু হল দমদম বইমেলা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসুর উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দমদম ইন্দিরা ময়দানে বিকেল চারটে থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মেলা চলবে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, প্রচেত গুপ্ত, কবি সুবোধ সরকার, গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুধাংশু শেখর দে।

Latest article