পুরনোকে ছেড়ে চলো পাল্টাই

আর ক’দিন তারপরেই ২০২৬। আর নতুন বছর মানেই নতুন অভ্যেস, নতুন শখ, নতুন পরিকল্পনা। পুরনোর ফাঁকফোকরে মরচে পড়া অনভ্যেসকে ঘষেমেজে অভ্যেসে এনে ফেলা। কোনটা রেখে যেতে চাইবেন এই বছর কোনটাই বা নিয়ে যেতে চান সঙ্গে। অভ্যাসের নতুন তালিকায় রয়েছে কী কী, জানালেন বিশিষ্টরা। শুনলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

গান-বাজনার অভ্যেসটা রাখতে চাই
স্বস্তিকা ঘোষ (অভিনেত্রী)
আমি মানুষকে সহজে বিশ্বাস করে ফেলি। মানুষ বলো, সম্পর্ক বলো বন্ধুত্বের জায়গাটা আর আগের মতো করে নয় এবার বুঝেশুনে করতে চাই। সহজেই মিশে গেলাম এমনটা আর করব না। যাতে পরে কষ্ট না পাই। বেড়াতে যাওয়াটা খুব মিস করেছি সামনের বছর বেড়াতে যেতে চাই অন্তত দুটো ডেস্টিনেশনে যাব। আরও একটা শখ ছিল বহুদিনের তা হল গানবাজনা করা। এটা অভ্যেসও ছিল কিন্তু পরে সময়ের অভাবে আর চর্চা করা হয়নি। গানবাজনার প্ল্যানিং নিয়ে এখনই কিছু ডিটেলে বলছি না সামনের বছরে (New Year) সবটা সামনে আনব। আপাতত সারপ্রাইজ থাক। আমার এখন একটাই লক্ষ্য, ভাল কাজ করতে চাই। অফার পেয়েছি অনেক। ওয়েব সিরিজ, ছবি করার— কিন্তু ভেবেছি একটু চুজি হব। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেব কোন অফার নেব কোনটা নেব না।

সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিতে চাই
জিনিয়া সেন (চিত্রনাট্যকার)
আমার কোনও বদ অভ্যেস নেই। খুব নিয়ম মেনে চলি। ভোরবেলা ওঠা, হাঁটতে যাওয়া, সিম্পল খাওয়াদাওয়া করা বা খুব কাজের চাপ না থাকলে তাড়াতাড়ি শুতে যাওয়া। আমার কোনওরকম আসক্তিও নেই। কিন্তু একটা অভ্যেস রয়েছে যেটা আমি একেবারেই ছেড়ে দিতে চাই সেটা হল সোশ্যাল মিডিয়া দেখা। দেখবে যখন আমাদের ছবি যখন রিলিজ করে তখন সমাজমাধ্যমে কোনও খারাপ কমেন্টস দেখলেই উত্তেজিত হয়ে যাই, চেঁচিয়ে ফেলি, রেগে যাই বলে ফেলি। সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে জুড়ে থাকতে চাই না। কারণ আমার মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়া দিনে দিনে খুব টক্সিক হয়ে উঠছে। সেখানে বেশিরভাগই গঠনমূলক সমালোচনার পথে হাঁটছেন না। ঈর্ষান্বিত মন্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, নেগেটিভিটি ছড়ান। ইদানীং হিংসা অনেক বেড়ে গেছে। আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর হতাশ মানুষের দেখা পাই যারা অন্যের ভাল সহ্য করতে পারে না। তাই ওটা ছেড়ে দেব, নিজেকে ডিটক্সিফাই করব আর সামনের বছর একদম একা বেড়াতে যাব যাকে বলে সোলো ট্রিপ করব। যেটা চেষ্টা করেও এ-বছর পারিনি করতে। আর সেই ট্রিপটা বেশ দূরে কোথাও করতে চাই।

খুব বেশি ভাবার অভ্যেস কমাব
ড. শর্মিলা সরকার (মনোচিকিৎসক, রাজনীতিবিদ)
আমি যেকোনও কাজ করতে গেলেই প্রচণ্ড ভাবি। সমস্ত নেগেটিভ পজিটিভ দিক ভেবেচিন্তে করতে গিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে এমনটাও হয় যেটা নিজের করা উচিত সেটাও আজ করব, কাল করব করতে গিয়ে অনেক দেরি হয়ে যায়। সেটা এই বছরও হয়েছে। তাই ২৬-এ আর এই জিনিসটা রিপিট করতে চাই না। আমি খুব ব্যস্ত, আমার হাজব্যান্ডও ডাক্তার, উনিও ব্যস্ত, মেয়ে ক্লাস ইলেভেনে পড়ে সেও পড়াশুনো নিয়ে ব্যস্ত তো আমাদের অনেকদিন একসঙ্গে কোথাও যাওয়া বা তেমন করে সময় কাটানো হয়নি। এই নতুন বছরে (New Year) যাওয়ার ইচ্ছে আছে ফ্যামিলি ট্রিপে। আমার নিজস্ব কিছু ভাললাগা আছে যেমন আমি খুব আবৃত্তি করতে ভালবাসি। নিজের মতো করেই করতে পছন্দ করি, গান শুনতে ভালবাসি। এগুলো একটা সময় নিয়মিত চর্চা করতাম সেই অভ্যেস চলে গেছে, আবার সেই ভাললাগাগুলো নিয়ে বসব ভেবেছি। খুব বই পড়া দরকার আমার। বিশেষ করে রাজনীতি সংক্রান্ত আরও বই পড়ব, আরও বেশি করে নিজেকে ফিট রাখব ভেবেছি। ওজনটা একটু বেড়ে গেছে, ওটাও কমাতে হবে নতুন বছরে।

নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যেস করতে চাই
সোহম চক্রবর্তী (অভিনেতা, রাজনীতিবিদ)
আমি কোনওদিনই ফিটনেস ফ্রিক ছিলাম না, খেতে খুব ভালবাসি। কোনও প্রোজেক্ট থাকলে তখন এক্সারসাইজ করি, প্রপার ডায়েট চার্ট মেন্টেন করি কিন্তু নতুন বছরে ভেবেছি আর শুধু প্রজেক্টের কারণেই নয় সুস্থ থাকতে নিয়মিতই শরীরচর্চা করব, ফিটনেস বজায় রাখব। ডায়েট মেন্টেন করব। কারণ সামনে একটা বড় যুদ্ধ আসছে সেটার জন্য তৈরি হতে হবে। যে ভুলগুলো এই বছর হয়েছে সেগুলো যাতে আর রিপিট না হয় সেটা দেখব নিজেকে আরও বেশি পলিশ করতে চাই তার জন্য যা দরকার করব। আমরা রোজ শিখি, সেই শেখার যে জায়গাগুলোয় ফাঁক রয়ে গেছে সেই জায়গাগুলো ঠিক করে নেব।

আরও পড়ুন-মানবে না হার, তৃণমূল আবার: ১ জানুয়ারি থেকে জোড়া কর্মসূচি আত্মতুষ্টি নয় যুদ্ধের সময়, বার্তা অভিষেকের

আমি ফুডি, ওটা একটু কমাতে চাই
ইধিকা পাল (অভিনেত্রী)
আমি খুব ফুডি। খেতে ভালবাসি। সেই খাবারের প্রতি ভালবাসাটা কমাতে চাই। যদিও ২০২৫-এ আমি খাবারের বিষয় অনেকটাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে এনেছি তাও ২৬-এ আরও বেশি চেষ্টা করব। কারণ আমাদের পেশায় নিজেকে ফিট রাখা খুব জরুরি। সেই সঙ্গে কাজ আমার সবসময়ের অভ্যেস যে অভ্যেসটা ছাড়ার তো প্রশ্নই নেই। ওই অভ্যেসটা আরও বাড়াতে চাই। আরো ভাল আরও চ্যালেঞ্জিং কাজ আরও বেশি করে করতে চাই। বিগত বছরে যা কিছু ভাল সেগুলো নিয়েই ২৬ পা দিতে চাই৷

মিষ্টি খাওয়া ছাড়তে চাই
দেবলীনা কুমার (অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী)
যদি খুব ক্যাজুয়ালভাবে বলি তাহলে মিষ্টি খাওয়াটা সামনের বছর ছেড়ে দিতে চাই। আর নয় কারণ এই বছর প্রচুর মিষ্টি খাওয়া হয়ে গেছে। জানি ভাবছি এক, হয়তো হবে সেটাই যেটা ডেস্টিনিতে আছে। চিনি বা মিষ্টি কম খাওয়াটা রোগা হওয়া বা ওজন কমানোর জন্য নয় কারণ আমি ফিজিকালি একদম ফিট আমার ওজনও নিয়ন্ত্রণে। আমি মিষ্টি ছাড়তে চাই কারণ সাদা চিনি বা হোয়াইট সুগার শরীরের জন্য ভাল না। ভিতর থেকে ঠিক না হলে আমার কাজের বা পেশার যে চাহিদা বা চাপ সেটা নিয়ে চলতে পারব না। আমি খুব বেশি ‘ওভার গিভার’। মানুষ আমার কাছে যা আশা করে সেটা তো দিই কিন্তু যেটা হয়তো আশা করে না তাও দিয়ে দিই। আমি দিতে ভালবাসি সেটা স্নেহ হোক, ভালবাসা হোক বা বিশ্বস্ততা। এই সব ঢেলে দেওয়াটা এবার একটু আটকাতে চাই কারণ এটা আমার জীবনের একটা ভুল অভ্যেস। না চাইতে অন্যের জন্য বেশি করে দেওয়া ঠিক নয় উল্টোদিক থেকে সেইটা না পেলে খারাপ লাগে তখন তাই একটু নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখব। আমি একটা সময় গান করতাম এ বছর হারমোনিয়াম বাজানোটা অভ্যাসে আনব। গান নিয়ে বসব।

বই পড়া শুরু করব আবার
অম্বরীশ ভট্টাচার্য (অভিনেতা)
২০২৬-এর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যখন পিছন ফিরে দেখছি দেখলাম এই বছরটা কাজের চাপে আমি সেইভাবে কোনও বই-ই পড়িনি অথচ আমি বই পড়তে ভালবাসি এবং বিভিন্ন বই পড়া আমার অভ্যেস। তাই নতুন বছরে ঠিক করেছি বই পড়াটা আবার শুরু করব। আমি সমাজমাধ্যমে খুব থেকেছি এ-বছর যেটা ২৬-এ কমিয়ে ফেলব। ব্যস্ততায় মানুষের সঙ্গে মেলামেশা অনেক কমে গেছে। ঠিক করেছি এই বছর বেরিয়ে পড়ব, ঘুরব, নানান মানুষের সঙ্গে দেখা করব, বিদেশ-বিভুঁই নয় আশপাশেই অনামী কিছু জায়গায়। একটা হলেও বন্ধু বানাব। আর শরীরচর্চার দিকে নজর দিয়েছি বেশ কিছুদিন হল সেটাকে আরও দৃঢ় করব সামনের বছর (New Year)।

রান্না করা শিখতে চাই
সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় (টেবল টেনিস খেলোয়াড়)
এ-বছরটা আমার মোটামুটি ভালই গেছে। এই মাসেই রাঁচির টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলাম। এ-বছরই আমার বিয়ে হয়েছে। একদম নতুন একটা পরিবার পেয়েছি। যে পরিবারকে আমি খুব সময় দিতে পেরেছি এমনটা নয় যদিও পরিবার খুব সাপোর্টিভ, তাও নতুন বছরে চাইব ফ্যামিলিকে আরও সময় দিতে। রান্না করা আমার হয় না, অভ্যেস নেই তাই রান্না শিখব ভেবেছি। আমি খুব খরচা করে ফেলি, হুটহাট কিনে ফেলি, নতুন বছরে (New Year) সঞ্চয়ের অভ্যেস করব। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি ওটা ছাড়তে চাই। আমি একটা এনজিওর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি ওই এনজিওর জন্য আরও বেশি করে কাজ করতে চাই।

অগোছালো বাড়িটা এবার গুছিয়ে নেব
বাণী বসু (সাহিত্যিক)
এই বছরে আমি অনেকগুলো দিন অসুস্থ ছিলাম সবে একটু সুস্থ হয়ে উঠেছি। ফলে আমার বাড়িটাও খুব অগোছালো হয়ে রয়েছে। আমার মনের মতো করে গোছানো নেই। তাই এবার একটু একটু করে সব গোছাব। রান্না করতে ভালবাসতাম, আবার রান্নার আগ্রহ তৈরি হয়েছে কিন্তু এখন নিজে হাতে আর রান্না করতে পারছি না হাত ভেঙে যাওয়ায় এখনও প্রায় অকেজো হয়ে রয়েছে। তাই আমি তদারক করছি, মুখে বলে দিচ্ছি আমার রান্নার যিনি লোক তিনি সেই মতো করছেন। এরপর হাতটা একটু ঠিক হলে নিজেই আবার রাঁধব। প্রত্যেক বছর বেড়াতে যাই ওটা কেমন যেন অভ্যেস এই বছর যেটা হয়নি। ২৬-এ আবার বেরিয়ে পড়ব ফ্যামিলি ট্রিপে। লেখালেখি আপাতত বন্ধ, হাতটা ঠিক হচ্ছে সেটাও আবার শুরু করব। তবে আমি বড্ড বেশি পরিশ্রম করেছি সামনের বছরটা (New Year) তাই একটু রিল্যাক্স করতে চাই, বিশ্রাম চাই।

শরীরের যত্ন নিতে চাই
অঙ্কিতা মল্লিক (অভিনেত্রী)
প্রত্যেক বছরই কোনও না কোনও অভ্যেস রপ্ত করতে চাই বলি কিন্তু করা আর শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠে না। যখন ফ্লোরে ছিলাম সবটাই শিখতাম। জগদ্ধাত্রী শেষ হবার পরে এটাই ভেবেছি এখন বেশ কিছুদিন ব্রেক নেব। সাড়ে তিনবছর ধরে কাজের মধ্যেই ছিলাম। ফলে নিজের অনেক কিছু অনভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বেশকিছু কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো করব। অনেকদিন বেড়াতে যাইনি, বেড়াতে যাব। রেস্ট নেব, কিছু ট্রিটমেন্ট করাব যেগুলো এতদিন করতে পারিনি। শরীর ঠিক রাখব এবং যত্ন নেব যাতে আরও পরিশ্রম করতে পারি।

 

ভাল ছবি দেখার অভ্যেস করব
প্রস্মিতা পাল (সঙ্গীতশিল্পী)
এই বছরে আমি কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। সময়ের অভাবে কারণ আমি একটা প্রোজেক্টে খুব ব্যস্ত ছিলাম, গান-বাজনাও চলছিল সঙ্গে ফলে হয়ে ওঠেনি। ২৬ এ জানুয়ারিতেই আমি ঘুরতে যাব দলবল নিয়ে সবাই মিলে। ইন্ডিয়াতে এখন অনেক ভাল ভাল মিউজিক কনসার্ট হচ্ছে। আমি চেষ্টা করব এইসব ভাল ভাল কনসার্টে যেতে। অনেকদিন হল বইপড়া বা ভাল ভাল ছবি দেখা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমা হলেও যাই না। এই বছর (New Year) বেশ ভাল ভাল কয়েকটা ছবি দেখব এবং বই পড়ব।

আরও বেশি মানুষের সঙ্গে মিশব
অর্ণব মিদ্যা (পরিচালক)
আমি না প্রচুর সিনেমা দেখি। যে ক’টা ছবি রিলিজ করে মূলত বাংলা এবং হিন্দি সব ক’টাই বড়পর্দায় দেখি। ছবির ভাল খারাপ, রেটিং এগুলোর কথা না ভেবে দেখতে যাই। একদিনে তিনটে-চারটে পর পর ছবি দেখি। কিছু ছবি সিনেমা হলে দেখার সুযোগ হয় না সেটাই শুধু ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখি। এ-বছরও করেছি, সামনের বছরও তাই করব। বরং যেগুলো দেখার সুযোগ হয় না বলে ওটিটিতে রিলিজ করলে দেখি সেগুলোও এবার বড়পর্দায় দেখব। মালয়ালম বা তামিল ছবি সবই আমার দেখা তাই এই অভ্যেসটা আমার অবশ্যই পরের বছরেও থাকবে। আর যে অভ্যেসটা আমাকে ছাড়তে হবে তা হল সাদা খাবার অর্থাৎ চিনি, ময়দা, নুন খাওয়া কমিয়ে ফেলা। এছাড়া আমি যখন বিভিন্ন মিটিংয়ে যাই বা বাড়িতে গেস্ট আসে তখন খাওয়াতে যেমন ভালবাসি তেমনই খেতেও খুব ভালবাসি ফলে একটানা আমার তেল-মশলাদার খাবার খাওয়াও হয়ে যায়। এটা আমাকে ছাড়তে হবে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে খুব পছন্দ করি, ওটাও ছেড়ে দেব। সকালবেলা নিয়ম করে বাজার করি, এই বাজার করার সময়টায় প্রচুর মানুষের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয়, কথা হয় যা আমাকে ভীষণ সমৃদ্ধ করে ফলে যতই ব্যস্ত হয়ে যাই না কেন এই অভ্যেসটাও আমি রেখে দিতে চাই সামনের বছর। আরও বেশি মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার অভ্যেসটা রপ্ত করব।

খরচ কমিয়ে সঞ্চয় করতে চাই
অন্নপূর্ণা বাসু (পরিচালক)
আমি খুব খরচা করে ফেলি। টাকা জমাতে পারি না। আমার এই খরচের অভ্যেসটা পাল্টাতে চাই। সঞ্চয় করাটা একটা ডিসিপ্লিন। একটু মন দিয়ে বুঝতে চাই সঞ্চয় কীভাবে করব। কোন ধরনের রোজগারে, কোন ধরনের সেভিংস উপযুক্ত সেটা জানব। ছবির কারণে বিগত দু-তিনবছর আমি কোথাও বেড়াতে যাইনি। তাই নতুন বছরটা শুরুই করতে চাই কোথাও ঘুরতে গিয়ে। ছবি তৈরি ক্ষেত্রে আমার নিজের ভাল লাগার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এসছি। কিন্তু সেটাই শুধু বলা জরুরি নয়, যদি কোনও ভাল বিষয় থাকে যেটা আমার বলার আছে সেইরকম গল্পও আগামী বছর বলব তেমন ছবি করতে চাইব। অন্তরের যে একটা বার্তা থাকে সেটাকেও তুলে ধরতে চাইব।

নিয়মিত জিম যেতে চাই
সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় (অভিনেতা)
আমি খুব ডিসিপ্লিনড লাইফ লিড করি বরাবর। তবে এ-বছর (New Year) যেটা হয়েছে প্রচণ্ড কাজের চাপে আমি নিয়মিত জিম যেতে পারিনি, শরীরচর্চা করতে পারিনি। এই অভ্যেসটা আবার নতুন করে তৈরি করতে চাই। ভোরবেলাতেই আমি রেগুলার জিম যেতে চাই। ফিজিকাল ফিটনেস আমার রয়েছে তাও আরও মজবুত করে ফেলব। এতদিন ধরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। তাই বন্ধুদের সঙ্গে এবছর ট্যুর প্ল্যান করব। সদ্য জগদ্ধাত্রী শেষ হল এখন নিজেকে আবার পরবর্তী প্রোজেক্টের জন্য তৈরি করব। অন্য চরিত্রে কাজ করার খুব ইচ্ছে তাই যে যে জায়গায় শেখা বাকি রয়ে গেছে সেগুলো রপ্ত করে নিতে চাই। স্বয়ম্ভূর মতোই আরও স্ট্রং, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে চাইব সেই অনুযায়ী এগোব।

Latest article