ফের বাঙালিরা আক্রান্ত বিজেপি রাজ্যে: প্রশ্ন তৃণমূলের

বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের সোনালি খাতুনকে।

Must read

বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বীরভূমের সোনালি খাতুনকে। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) নির্দেশ ছাড়া দেশে ফেরাতে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি যে কে সেই। বাঙালি হেনস্থা ইস্যুকে যেন বন্ধ করতেই চাইছে না কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের মানুষকে রক্ষায় দলীয় থেকে প্রশাসনিক – সব রকমভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে চুপ রাজ্যের প্রতিটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। রাজ্যের মানুষের হেনস্থায় বিজেপি থেকে সিপিআইএম কোনও দলের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। গোটা দেশে নতুন করে ফের বাঙালি হেনস্থা শুরুর ঘটনায় সরব শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-সাংসদ মিতালী বাগের মাতৃবিয়োগে আবেগপ্রবণ সায়নী

সম্প্রতি ওড়িশা থেকে মহারাষ্ট্র – নতুন করে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক থেকে ছোট ব্যবসায়ীদের আক্রান্ত হতে হয়েছে কখনও স্থানীয় বিজেপি কর্মী, কখনও প্রশাসনের দ্বারা। সোমবার এই নিয়ে সরব পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, আমি নিজে দিল্লি সংলগ্ন বাঙালিদের ১৭ টি বস্তি এলাকায় ঘুরেছি। সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মতো একইভাবে এমন একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যে বাংলায় কথা বললেই হেনস্থা করা হবে। আমি পড়াশোনার সূত্রে যখন দিল্লি আইআইটি-তে ছিলাম তখনও দিল্লিতে এমন দেখিনি। কিন্তু বিজেপির আমলে এমন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-বছরশেষেও ফাঁকা বুলিই সম্বল, জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে নীরব প্রধানমন্ত্রী

রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক বোর্ড বিজেপি শাসিত ১২টি রাজ্যের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ করতে না দেওয়ার যে চক্রান্ত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়েছে। অথচ এরপরেও কেন্দ্রের সরকার ও বিজেপি শাসিত সরকারগুলি এই ঘটনাকে স্বীকারই করতে চাইছে না। সেখানেই সামিরুলের প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করার অধিকার রয়েছে, সেখানে কেন এভাবে অত্যাচার হবে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পরে এইসব ঘটনা কিছুটা কমেছিল। কিন্তু আবার ওড়িশা, অসমের মতো রাজ্যে সেই একইভাবে অত্যাচার শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন-নতুন বছরে কমবে শীত

বিজেপির কেন্দ্রের সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতারাও কেউ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। সাংসদ সামিরুল উদাহরণ তুলে ধরেন দক্ষিণ দিনাজপুরের অসিত সরকার ও গৌতম বর্মণের প্রসঙ্গ। মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতারের পরে বিজেপি কর্মী গৌতম দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। সুকান্ত মুখ ফিরিয়ে নিলে তাঁর পাশে দাঁড়ান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং ঘরে ফিরতে পারেন দুজন। সেখানেই সামিরুলের প্রশ্ন, বিরোধী দলের নেতারা প্রশ্ন তুলছে রাজ্য সরকার কী করছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বোর্ড তৈরি করা থেকে দিল্লিতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করে যে কাজ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য করছেন, তা কোনও রাজ্য করতে পারেনি।

আরও পড়ুন-সুকান্ত তাড়িয়েছেন, পাশে অভিষেক

সেখানেই বিরোধী দলগুলিকে পরিযায়ী শ্রমকি উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে চেয়ারম্যান সামিরুল পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, এভাবে পরিযায়ী মানুষের উপর অত্যাচার সমগ্র জাতির উপর অত্যাচারের সামিল। সেখানে রাজ্যে গণ সংগঠনগুলির তো রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল অনেক আগেই। অথচ তৃণমূল ছাড়া কোনও রাজনৈতিকদলকে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে কেন দেখা গেল না?

Latest article