সোমবার নিউ টাউনে দুর্গা অঙ্গনের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে মন্দির তৈরির কাজ। ২০২৭-এর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। তারপরই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে যাবে সেই মন্দির। এদিন মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আজকের অনুষ্ঠান সারা বিশ্বের, বিশ্ববাংলার, সর্ব সংস্কৃতির, বাংলার মা মাটি মানুষের, সর্বধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, সর্ব জগৎ, সংস্কৃতির। খেলাধুলো থেকে চলচিত্র জগতের সকলের। বইমেলা থেকে খেলা বহু বিশিষ্ঠ মানুষ উপস্থিত আছেন আজ। যারা পেছনে বসে আছেন তারা না এলে এই অনুষ্ঠানটাই হত না। আজকের অনুষ্ঠান আমি বাংলার মানুষকে সমর্পন করছি। আগে যে জায়গাটা দেখা হয়েছিল, সেটি ১২ একরের। পরে ভাবলাম যদি করতে হয়, ভাল করে করা দরকার। তাই এই জমিটি নেওয়া হয়েছে। এটি ১৭.২৮ একর। বিশ্বের বৃহত্তম দুর্গা অঙ্গন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের টার্গেট, দিনে ১ লক্ষ মানুষ আসতে পারবেন। ইউনেস্কো যে স্বীকৃতি দিয়েছে, যে সম্মান দিয়েছে, তা সংরক্ষিত করার জন্যই এই মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। ৩৬৫ দিন দুর্গা ঠাকুর দেখতে পাবেন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দেখতে আসবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে দুর্গা অঙ্গনে।”
আরও পড়ুন-বিষ্ণুপুরে ‘সেবাশ্রয় ২’ পরিদর্শনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া ট্রাস্ট এই মন্দিরের দেখাশোনা করবে। মাত্র ২০ শতাংশ জায়গায় এসি থাকবে, বাকিটায় প্রকৃতির হাওয়া। পুরো চত্বরে ৩০০-র বেশি গাছ, ১০০০ ফুল গাছ লাগানো হবে। গ্রিন বিল্ডিং হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। মূল মণ্ডপ ছাড়াও থাকবে সিংহ দুয়ার, প্রদক্ষিণ পথ, পবিত্র কুণ্ড। শিব, গনেশ, কার্তিক, সরস্বতীর আলাদা আলাদা মণ্ডপ থাকবে। মূল গর্ভগৃহের উচ্চতা হবে, ৫৪ মিটার। মন্দিরের শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে ১০৮ দেবদেবীর মূর্তি ও ৫৪টি সিংহমূর্তি বসানো হবে। ১০০৮টি স্তম্ভ তৈরি করা হচ্ছে। নকশা করা খিলান দিয়ে পথটি সাজানো হচ্ছে। সবুজে ঘেরা খোলা চত্বর রাখা হয়েছেএবং তার চারপাশ দিয়ে ২০ ফুট চওড়া রাস্তা করা হচ্ছে। ২ লক্ষ বর্গফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হবে অঙ্গন। মন্দিরের মাঝে উঠোনে ১ হাজার লোক একসঙ্গে বসে থাকতে পারবেন। দুর্গা মন্দিরের ট্রাস্টে যা টাকা জমা পড়েছে, তাতে মায়ের মূর্তির দাম উঠে এসেছে। বাকিটা হিডকো থেকে খরচ করতে হবে। আমাদেরও ২৫০-৩০০ কোটি টাকা দিতে হবে কার পার্কিং সহ বিভিন্ন খাতে। এর আগে দক্ষিণেশ্বরে, কালীঘাটে আমরা টাকা দিয়েছি। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমের উন্নয়ন করা হয়েছে। কেউ টাকা দেয় না। আমরাই করি। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মহাকাল মন্দিরের শিলান্যাস হবে। জমি দেখা হয়ে গিয়েছে। প্রস্তুত আছে। পুজোর দিনও ঠিক করা হয়েছে। টাকাও জোগাড় হয়ে গিয়েছে।”

