সদুত্তর না পেয়ে ফের কমিশনে

এসআইআর-শুনানি নিয়ে সোমবারই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

Must read

প্রতিবেদন : এসআইআর-শুনানি নিয়ে সোমবারই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদুত্তর না পেলে মঙ্গলবার ফের সিইও দফতরে যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সেইমতো এদিন সন্ধ্যায় সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, গতকাল আমাদের যে বক্তব্য ছিল, তার কিছু উত্তর পেয়েছি। আমাদের দাবি মেনে কমিশন ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের বাড়ি গিয়ে শুনানির নির্দেশিকা দিয়েছে। কিন্তু যারা অসুস্থ কিংবা শয্যাশায়ী তাঁদের ওই তালিকায় রাখা হবে না কেন? কেন অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও কবি জয় গোস্বামীকে শুনানি-কেন্দ্রে যেতে হবে? কমিশন জানিয়েছে, অসুস্থদেরও বাড়ি গিয়ে শুনানির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশ এইআরও কিংবা বিএলও স্তরে পৌঁছে দিতে বলেছি। অসুস্থতার কারণে যাঁরা শুনানি কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, তাঁরা স্থানীয় বিএলওকে বললেই বাড়িতে গিয়ে শুনানি হবে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

দলের আরও বক্তব্য, যে এক কোটি ৩৬ লক্ষের নামে অসঙ্গতি মিলেছে, তার তালিকা চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে কমিশন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই তালিকা এইআরও-বিএলও স্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এতে তৃণমূলের করা দাবির ন্যায্যতা প্রমাণিত হল। এবং তৃণমূলের তৃতীয় দাবি ছিল, যাঁরা কর্মসূত্রে কিংবা পড়াশোনার জন্য রাজ্য কিংবা দেশের বাইরে আছেন, তাঁদেরও ভার্চুয়াল হিয়ারিং হোক। বুধবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতরে ফের এই বিষয়গুলি উত্থাপন করবে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে এদিন তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, অনেকে ৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন, অথচ ১১টি নথির কোনওটাই নেই। এক্ষেত্রে একটা স্থানীয় স্তরে অনুসন্ধান করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, পুলক রায় ও দুই সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও বাপি হালদার।

Latest article