দূষিত জল খেয়ে গুরুতর অসুস্থ ইন্দোরের (Indore Water contamination) হাজার খানেক বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই ৭জনরে মত্যুর খবর মিলেছে। ভারতের ‘সবচেয়ে পরিছন্ন শহর’ হিসেবে পরিচিত মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ইন্দোরের ভগীরথপুরার হঠাৎ করেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন বাসিন্দারা- জানিয়েছেন ইন্দোরের মেয়র পুষ্যমিত্র ভার্গব। স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বাড়ির জলের কল দিয়ে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত জল পড়ছে। এর ফলেই এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ঘটনার জন্য তিনি এক জোনাল অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করেছেন এবং সাব-ইঞ্জিনিয়ারের পরিষেবা বাতিল করেছেন। এছাড়াও তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এলাকাবাসী বলেছেন, প্রায় ৬ মাস ধরে দূষিত জল নিয়ে সমস্যাটা চলছিল। সেই নিয়ে প্রশাসনকে অনেকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ে। যার ফলে শিশু, বৃদ্ধ-সহ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই তদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য উঠে এসেছে। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভগীরথপুরায় পাবলিক টয়লেটের নীচ দিয়ে গিয়েছে পানীয় জলের মূল পাইপলাইনটি। সেইখানে নাকি লিকেজ ধরা পড়েছে। ফলে নর্দমার জল এই পাইপলাইনে ঢুকে পড়ে। এছাড়া এলাকায় অনেক ভাঙা ডিস্ট্রিবিউশন লাইনও পাওয়া গিয়েছে, যার ফলে দূষিত (Indore Water contamination) জল বাড়িগুলোতে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন পাইপলাইন বসানোর টেন্ডার চার মাস আগে পাশ হয়েছে। যার জন্য ২.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই প্রকল্পটিও কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুন- EVM-এ নয় ভোট চুরি হচ্ছে তালিকায়: তোপ অভিষেকের, জ্ঞানেশ কুমারকে বৈঠকের ফুটেজ প্রকাশের চ্যালেঞ্জ
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের এই বিষয়ে সমীক্ষার জন্য বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যেও অনেকে নিজেও অসুস্থ বা অনেকের বাড়ির লোক অসুস্থ এই দূষিত জলের জন্য। এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের চিকিৎসায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
ওই এলাকার সঞ্জীবনী ক্লিনিকে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। তাদের সবাই বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়েই আসছেন। রোগীরা জানিয়েছেন, একই বাড়ির একাধিক মানুষ অসুস্থ। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কমিটি তদন্তের রিপোর্ট জমা দেবার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

