১০ প্রশ্নবাণ, নীরব জ্ঞানেশ

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আসল লক্ষ্য হল এসআইআরের নামে বাংলার ভোটারদের একটা বড় অংশের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা। কেন এমন অগণতান্ত্রিক-অসাংবিধানিক কাজ করা হচ্ছে? বুধবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে এমনই ১০ প্রশ্নবাণ ছুঁড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লোকসভায় দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee)। কিন্তু সেই ১০ প্রশ্নবাণের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
বৈঠকের পর কমিশনের বাইরে এসে নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য করে অভিষেকের (Abhishek banerjee) নিশানা, বাংলার ১ কোটি ৩৬ লক্ষ নামে অসঙ্গতি দাবি করেছে কমিশন। এদের নাকি নাম, বয়স, বাবা-মায়ের নাম, জন্মসাল ঠিক নেই। আমাদের প্রশ্ন হল, এই ‘লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি’ তালিকা কেন প্রকাশ করা হয়নি? ভুল শোধরানোর জন্য নথি আপলোড করার পরেও কেন তা শোধরানো হচ্ছে না? যে ৫৮ লক্ষ লোকের নাম বাংলার খসড়া তালিকায় নেই, তার মধ্যে কতজন বাংলাদেশি এবং কতজন রোহিঙ্গা আছে? এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশন। তামিলনাড়ু, গুজরাত, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে এসআইআর করা হচ্ছে৷ শুধু বাংলায় কেন বিশেষ অবজার্ভার দেওয়া হচ্ছে? অন্য রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে না কেন? যাঁরা ফর্মপূরণ করেননি, তাঁদের নাম বাদ যাবে, এটা ঠিক৷ কিন্তু যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের নাম কীভাবে বাদ গেল? এই ভুলের মূল্য কে চোকাবে? বাংলার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে, বাংলাকে নিচু করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তার দায় কে নেবে? পরিযায়ী শ্রমিকদের ফর্ম ফিল-আপ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তার উত্তর মেলেনি। বিহারে কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্থা করা হয়নি, বাংলায় কেন হবে? বিহারের জন্য আলাদা সুবিধে কেন? সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানি হলে এসআইআরের ক্ষেত্রে হবে না কেন? এসআইআর শুনানিতে বিএলএ ২-রা থাকবেন না কেন? কেন কমিশন এই বিষয়ে কোনও সার্কুলার জারি করবে না? এই প্রসঙ্গেই অভিষেক সাফ জানান, বিএলএ ২-দের শুনানিতে হাজির না থাকতে দেওয়া নিয়ে কোনও সার্কুলার জারি করবে না কমিশন। কারণ তাঁরা জানে পরবর্তীকালে আদালতে কমিশনের এই সার্কুলার অবৈধ বলে গণ্য হবে

আরও পড়ুন- কমিশনকে হুঁশিয়ারি দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের, বৈধ ভোটারদের হেনস্থা বন্ধ না হলে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

Latest article