মৃত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মুজিবর ইসলাম মজুমদারের (Mujibar Islam Majumder) দেহ নিয়ে আগামীকাল ত্রিপুরা যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং সাংসদ শান্তনু সেন। আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন মৃতের পরিবারের হাতে।
ত্রিপুরা বিজেপির গুন্ডাদের হাতে প্রহৃত এবং কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত, আগরতলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মজিবুর ইসলাম মজুমদারের পরিবারের হাতে তাঁর মৃতদেহ ও আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে, বৃহস্পতিবার আগরতলায় যাচ্ছেন ব্রাত্য বসু ও শান্তনু সেন। বুধবার মুজিবরের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দলের নির্দেশে SSKM হাসপাতালে ছুটে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। ময়নাতদন্তের পর আজ রাতে SSKM-এর পুলিশ মর্গেই থাকবে মুজিবর ইসলাম মজুমদারের (Mujibar Islam Majumder) মরদেহ। বৃহস্পতিবার সন্ধের বিমানে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আগরতলায় রওনা হবেন ব্রাত্য বসু ও শান্তনু সেন। সঙ্গে থাকবেন প্রয়াত নেতার পরিবারের দুই সদস্য। স্বামীর মৃত্যুতে মজিবুরের স্ত্রী ভেঙে পড়ায় তাঁকে এদিনই ত্রিপুরা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার আগরতলায় বিপ্লব দেব প্রশাসনের ব্যর্থতা, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সহ ১৫ দফা দাবিতে তৃণমূলের রাজভবন অভিযান। তার আগেই দলীয় নেতার মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারে।
আরও পড়ুন: বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় অবশেষে প্রয়াত ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা মজিবর ইসলাম
টানা কয়েক মাস ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত চলে যেতে হল ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা মুজিবর ইসলাম মজুমদারকে (Mojibur Islam Majumder)। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলার পর কলকাতার SSKM হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বুধবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
গত ২৮ অগাস্ট তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ত্রিপুরায় মুজিবর ইসলাম মজুমদারের বাসভবনে এক কর্মসূচির আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। খবর পেয়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মুজিবরের বাড়িতে চড়াও হয়। মুজিবর সহ ৩ জন তৃণমূল কর্মী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয় মুজিবর ইসলাম মজুমদার এবং ছাত্রনেতা শুভঙ্কর মজুমদার। এরপর দু’জনকেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভালো চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
মুজিবর ইসলাম মজুমদারকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় সেই সময় তাঁর অস্ত্রোপচার করা যায়নি। এরপর রক্তে শর্করার পরিমাণ কিছুটা কমলে তাঁকে ফের ১৮ ডিসেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারও হয়। শুভঙ্কর মজুমদার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন, কিন্তু মুজিবরের আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে বহু চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না।