সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : রাজ্য জুড়ে চলছে ভোটার তালিকার শুনানি প্রক্রিয়া। তাতে নির্বিচারে সবাইকে ডাকছে। অতিবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না। কমিশন ৮৫ বছরের বেশি বয়সীদের বাড়িতে গিয়ে শুনানির কথা বললেও তা মানা হচ্ছে না। এমনই এক দৃশ্য ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের লালবাগ শহরের সিংহী হাই স্কুলে। ২০০২-এর ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শহরের কয়েকজন ৮৫ বছরের বেশি বয়সী বাসিন্দার নাম খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ গিয়েছে। তাঁদের শুনানিতে ডাকা হলে, তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সে করে শুনানিতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জিয়াগঞ্জ শহরের ৯১ বছর বয়সি নির্মলা সরকার। কানে ভালো শোনেননা, ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে নিয়ে এসেছেন শুনানিতে। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১ এবং ৪২ নম্বর অংশে প্রায় ৭৭ জন এমন মানুষের নাম খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে যাঁরা চলাফেরায় অক্ষম এবং বাড়িতে দেখাশোনার মতো লোক নেই। পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষের উদ্যোগে চারজন ৮৫-ঊর্ধ্ব মানুষকে শুনানিতে হাজিরা দিতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন-সৈকতে বর্ষবরণ, দিঘা যেন পার্ক স্ট্রিট!
তৃণমূলের দাবি, জাতীয় নির্বাচন কমিশন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বৃদ্ধ ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে চাইছে। বিজেপির এই অসৎ উদ্দেশ্য যাতে কোনওভাবেই সফল না হয় তাই মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দলীয় কর্মীদের প্রবীণ ও অসুস্থদের ক্যাম্পে আনার ব্যবস্থা করতে বলেছেন।

