ব্যুরো রিপোর্ট: টানা বৃষ্টির সঙ্গে ডিভিসি ব্যারেজ থেকে জলছাড়া। দুই বিপদে বিঁধে জেরবার রাজ্য। জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রাঘাতে মৃত্যুর খবরও এসেছে। বীরভূম বাঁকুড়া মিলিয়ে দুই জেলায় ৪৮ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫জনের। এদিকে জলভাসি হুগলির খানাকুল। আজ, বুধবার বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে কথা বলবেন দুর্গতদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট আইনি প্রক্রিয়াকেই কলঙ্কিত করেছে, হাইকোর্টে তোপ রাজ্যের
রাজ্যের দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলা করার নির্দেশ দেবেন প্রশাসনকে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘জলভাসি এলাকা ঘুরে দেখার দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী।’
এদিকে, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা এদিকে হুগলির খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। তবে প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থায় বিপদ অনেকটা কাটানো সম্ভব হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করছেন মন্ত্রী থেকে দলনেতারা। খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলভাসি।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হেলিকপ্টার দিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে দুর্গতদের। দলনেত্রীর নির্দেশ মত মঙ্গলবার বানভাসি উদয়নারায়ণপুরের পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। এদিনই খানাকুলে যান রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়, খানাকুলের যুব তৃণমূল নজিবুল করিম।
বীরভূম, বাঁকুড়ার পাশাপাশি ঘাটালের অবস্থাও শোচনীয়। শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত এলাকা। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখেছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কথা বলেছেন দুর্গতদের সঙ্গে। অন্যদিকে, ডিভিসি ফের জল ছাড়ার ফলে দামোদরের জল উদয়নারায়ণপুর থেকে আমতার ১ নম্বর ব্লকের রসপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঢকে পড়ে। রূপনারায়ণ, মুন্ডেশ্বরী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় আমতা দু’নম্বর ব্লকের দ্বীপাঞ্চল ভাটোয়া চিতেনান ও ঘোড়াবেড়িয়া অঞ্চল পুরোপুরি জলমগ্ন। প্রশাসন যুদ্ধাকালীন তৎপরতায় কাজ করছে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে। খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির।
আরও পড়ুন: বিজেপির ভাঁওতা ফের প্রকাশ্যে, ভ্যানচালকের পাশে সেই রাজ্যই
দুর্গতদের সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ স্থানে। শুকনো খাবার ত্রিপল দেওয়া হয়েছে ত্রাণশিবিরে। উদয়নারয়ণপুরে দামোদরের জল ঢুকে জলে তলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। উদয়নারায়ণপুরের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮০টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নৌকা করে গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে আনা হয়। প্রশাসনের তরফে ড্রোণ উড়িয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিস্থিতি। প্রশাসনিক তৎপরতায় প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরের স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরেও জল ঢুকে পরে। জল নিষ্কাশনের কাজ চলছে তৎপরতার সঙ্গে।