ব্যুরো রিপোর্ট : পাহাড় থেকে সমতল, লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। গত সাতদিনে প্রায় সাড়ে ১০ গুণ করোনার সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যে। একদিনে উত্তর দিনাজপুরে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আলিপুরদুয়ারেও ছবিটা এক। দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতেও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। উত্তরবঙ্গের অবস্থা সামাল দিতে পরীক্ষা, টিকাকারণ ও পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে নজর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন-কোভিড বিধি না মানায় নিজের ভাইকে এবার ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার নতুন করে পুর এলাকায় পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানালেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। এদিন পুরসভার ২২, ২ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের খবর মেলে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শীলা সরকার নামে বছর ৬৬-র এক মহিলার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বুধবার। বৃহস্পতিবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বছর ৮০-র পিনাকি সেনগুপ্তও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানান সৈকতবাবু। দুজনেই জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যের সীমানায় RTPCR টেস্ট মাস্ট, নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ: মুখ্যমন্ত্রী
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে বহু চিকিৎসক কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার ইন্দ্রজিৎ সাহা। এছাড়াও বহু চিকিৎসক আক্রান্ত। করোনার দায়িত্বে থাকা উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাক্তার সুশান্ত রায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা করোনায় আক্রান্ত হলেও অন্য জায়গা থেকে বাড়তি চিকিৎসক দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন শিলিগুড়িবাসী
ইতিমধ্যে শিলিগুড়ির সুভাষপল্লী এলাকার নেতাজি গার্লস স্কুল রোড লোকনাথ মন্দির রোড, রাজীব মোড়, সারদামণি রোড, আশ্রমপাড়া-সহ মিলনপল্লী এলাকার সার্কুলার রোড ও কম্পিউটার প্যারাডাইস বিল্ডিং কোয়ারেন্টাইন হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এসব এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ৬১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা করাচ্ছেন। তাঁদের বাড়ি বাড়ি ওষুধপত্র খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। এছাড়াও ইসলামপুর পলিটেকনিক কলেজ ও ইটাহারে গোটলুতে সেফ হোম ফের চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।