অনুপম সাহা, তুফানগঞ্জ : করোনাকালে রোজগার হারিয়েছেন স্বামী। জামাকাপড় সেলাই করে টুকটাক আয় হত, তাও বন্ধ হয়ে যায়। দুই মেয়ের লেখাপড়া, চারজনের সংসার খরচ। কীভাবে চালাবেন? এই ভেবে রাতের ঘুম উড়ে ছিল তুফানগঞ্জের সুচিত্রা বর্মনের। তখনই ভাবলেন সচেতনতার পাশাপাশি রোজগারের ভাবনা। করোনা আবহে দিন দিন বাড়ছে মাস্কের চাহিদা। তাই জং পড়ে যাওয়া সেলাই মেশিন বের করে কাপড়ের মাস্ক তৈরি করতে শুরু করেন সুচিত্রা। আর তাতেই দেখলেন লাভের মুখ।
আরও পড়ুন-দিনাজপুরে শক্তিশালী মহিলা ব্রিগেড ‘বঙ্গজননী’
এখন মাস্ক তৈরি করে সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন তুফানগঞ্জ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুচিত্রা বর্মন। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানে মাস্ক তৈরি করে আয়ের পাশাপাশি সচেতনতারও বার্তা দিচ্ছেন তিনি। দুই মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে চারজনের সংসার। লকডাউনে সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সংসার চালানোর জন্য রোজগারের কথা চিন্তা করতে থাকেন। সেলাইয়ের কাজ জানা সুচিত্রা চিন্তা করেন, মাস্ক তৈরি করে সংসার চালানোর পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন করা যাবে। বড় মেয়ে ময়ূরাক্ষী তুফানগঞ্জ ইলা দেবী গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ে লাবণ্য দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। দুই সন্তানের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালাতেই মাস্ক তৈরি শুরু। সুচিত্রা বলেন, “সেলাইয়ের কাজটা আগে থেকে জানা ছিল। তাই মাস্ক তৈরিতে অসুবিধা হয়নি। হেরে গেলে তো চলবে না, সংসার সামলাতে হবে। তাই এগিয়ে যাচ্ছি।”