মেলবোর্ন, ৭ জানুয়ারি : নোভাক জকোভিচকে জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলীয় প্রশাসন। তাদের বক্তব্য হল, অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাঁকে এমন একটি হোটেলে রাখা হয়েছে, যেখানে রিফিউজি ও রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া লোকেদের রাখা হয়। কিন্তু তিনি মোটেই আটক নন। চাইলে যখন খুশি অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন জকোভিচ।
আরও পড়ুন-মান রেখেছে পূজারা-রাহানে, বলছেন গাভাসকর
বুধবার সন্ধ্যায় ১৩ ঘণ্টা বিমানযাত্রা করে মেলবোর্ন বিমানবন্দরে নেমেছিলেন বিশ্বের একনম্বর টেনিস তারকা। কিন্তু তাঁর এন্ট্রি ভিসা বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলীয় প্রশাসন। জকোভিচ কোভিড প্রতিষেধক নিয়েছেন কি না বলেননি। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন যেখানে হয়, সেই ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেডিক্যাল ছাড় পেয়েছিলেন। কিন্তু কোন কারণে তাঁকে এই ছাড় দেওয়া হল, তা নিয়ে ঘোর সন্দিহান অস্ট্রেলীয় প্রশাসন। শেষমেশ জকোর ভিসা বাতিল করে দেয় অস্ট্রেলিয়া সরকার। বলা হয়েছিল, নিয়ম সবার আগে। এখানে কে কতবড় তারকা তা দেখা হবে না।
বিষয়টি অবশ্য এখন আদালতের বিচারাধীন। জকোভিচ তাঁর ভিসা বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। সোমবার সকালে তার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন-বাঙালির মিশন বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কায় রিচা
সেইপর্যন্ত এই টেনিস তারকাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়া যাবে না। তবে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রহরায় জকোকে আইসোলেশন রুমে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে তাঁরা এই আবেদন জানিয়েছেন যে, তাঁকে যেন হোটেলের বদলে ভাড়া বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়। এদিকে সার্বিয়া তাদের দেশের জাতীয় নায়কের এই হেনস্তা মেনে নিতে পারছে না। ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভুসেক। তিনি বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখতে পেয়েছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী কারেন অ্যান্ড্রুজ সাফ বলেছেন, তাঁরা জকোভিচকে আটক করে রাখেননি। তিনি চাইলে যখন-যেখানে খুশি চলে যেতে পারেন। দেশের অর্থমন্ত্রী সিমন বার্মিংহামও একই কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, জকোভিচ গতবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেতাব জয়ী। মোট ন’বার তিনি এই টুর্নামেন্ট জিতেছেন। এবার ২১তম গ্র্যান্ড স্লাম খেতাবের লক্ষ্যে মেলবোর্নে নামতে চেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরু হচ্ছে ১৭ জানুয়ারি থেকে।