প্রতিবেদন : শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসি-কে রুখে দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র। চোট আঘাতের কারণে এদিন মাত্র এক বিদেশি ড্যানিয়েল চিমাকে (Daniel Chima) রেখে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন লাল-হলুদের অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিং। কিন্তু এদিন ইস্টবেঙ্গলের ভারতীয় ব্রিগেডের কাছেই আটকে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে ড্র করে ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ফের লিগ শীর্ষে উঠল মুম্বই। অন্যদিকে, এখনও জয়ের মুখ না দেখা ইস্টবেঙ্গল তাদের ষষ্ঠ ড্রয়ে লিগের লাস্ট বয়ই থাকল।
সম্মিলিতভাবে রক্ষণ সামলে মুম্বইয়ের শক্তিশালী আক্রমণ রুখে দিয়ে মূল্যবান এক পয়েন্ট অর্জন ইস্টবেঙ্গল। ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে খেলান রেনেডি। ডিফেন্সিভ স্ক্রিন হিসেবে সৌরভ দাস অনবদ্য ফুটবল খেলে হলেন ম্যাচের সেরা। একই ভাবে আদিল খান, হীরা, হাওকিপ, গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যও ছিলেন অনবদ্য।
বেঙ্গালুরু ম্যাচের দল থেকে দু’টি বদল করেছিলেন রেনেডি। অমরজিৎ সিং ও বিকাশ জাইরুকে প্রথম একাদশে রাখেন। অমরজিৎকে খেলানো হয় অনভ্যস্ত সাইড ব্যাক পজিশনে। মার্সেলা না থাকায় সেন্টার ব্যাকে আদিল খানের পাশে খেলেন জয়নার লোরেঙ্ক। লেফট ব্যাকে হীরা মণ্ডল। ইস্টবেঙ্গলের এই ভারতীয় রক্ষণভাগ প্রথমার্ধে মুম্বইয়ের যাবতীয় আক্রমণ রুখে দেয়। গোটা ম্যাচে প্রাধান্য ছিল মুম্বই সিটিরই। বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ভাঙাচোরা দল নিয়েও সম্মিলিতভাবে রক্ষণ সামলে লিগের অন্যতম সেরা দলকে রুখে দিল রেনেডির ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)।
আরও পড়ুন-জকোর সমর্থনে মেলবোর্নে মিছিল
এদিন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। ইগর আঙ্গুলো, কাতাতাউদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এদিকে মুম্বই ম্যাচের আগেই ড্যানিয়েল চিমাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে ইস্টবেঙ্গল। নতুন কোচ মারিও রিভেরার পছন্দের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সম্ভবত আসছেন লাল-হলুদে।