কোভিডের এই সুনামিতে কাবু প্রায় সকলেই। এই সময় দরকার একটু যত্ন একটু পুষ্টিকর খাবার একটু ফল। কিন্ত আজকের ২০২২ এর এই সুপারজেট জমানায় সময় কোথায় মানুষের। রুটিরুটির টানে অনেক বাড়ির ছেলেমেয়েরা বিদেশ বিভুইয়ে। আর দেশে থাকলেও তারা হয়তো ব্যস্ত তাদের স্ত্রী সংসার নিয়ে। আবার কেউ বিয়েই করেননি। কিন্তু কোভিড কি আর সেকথা বোঝে। নাকি শরির বোঝে। তার দরকার সময়মতো পুষ্টিকর খাবার বিশ্রাম।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় নেই। তাহলে এসব কোথা থেকে? যার কেউ নেই তার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন৷ পঞ্চায়েত দফতর আছে। এই দফতরের উদ্যোগে সোমবার থেকে কলকাতা শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুরু হচ্ছে রান্না করা খাবার পাঠানো। ফোনে ও অনলাইনে বাড়িতে বসেই এর অর্ডার দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-পদ্মের প্রচারে শিশুশ্রম, শিলিগুড়ি পুরসভা
পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় জানালেন, কলকাতা শহরে, শহরতলিতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা করোনায় আক্রান্ত। বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। আবার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাইরের ঝাল-মশলা দেওয়া খাবারও খেতে পারছেন না। ফলে হোম ডেলিভারি আনাতে পারছেন না। অথচ এই সময় তাদের দরকার দুবেলা পুষ্টিকর খাবার। এই ভাবনা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে।
কোভিড আক্রান্তরা বাড়ি বসে রান্না করা পুষ্টিকর খাবার পাবেন সামান্য মূল্যের বিনিময়ে। এছাড়াও চাইলে পুষ্টিকর কাঁচা শাকসবজিও কোভিড আক্রান্তের বাড়িতে পৌঁছে যাবে। তাতে পেপে ক্যাপসিকাম, বিট, গাজর, সয়াবিন, ব্রাউন রাইস সহ একাধিক জিনিস থাকবে। রান্না করা খাবার ও কাঁচা শাকসবজি কি থাকবে তার তালিকা তৈরি হয়েছে কলকাতার প্রথিতযশা ডাক্তার ও পুষ্টিবিদদের সঙ্গে কথা বলে। পুলক রায়ের কথায়, এই ভয়াবহ অতিমারির সময় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। তাই যৎসামান্য মূল্যে এই বিশাল কর্মকাণ্ড শুরু করছি। এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন-কোভিড বিধি মেনে প্রচার
এই রান্না করা ও শাকসবজি তোলা বাছাই করা সবটাই করছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে সিডিসি, ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সোমবার থেকে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। মানুষের সাড়া দেখে ধীরে ধীরে এর পরিমাণ ও খাবারের মেনু দুইই প্রয়োজন অনুযায়ী ও সময় অনুসারে বদলানো হবে।