প্রতিবেদন : ঠিক নির্বাচনী লড়াই বলতে যা বোঝায়, বিধাননগরের পুরনির্বাচনে এবারে তেমনটা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। উন্নয়নের নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের সাফল্যে নগরবাসী এতটাই আপ্লুত যে উন্নয়ন অভিযানকে আরও গতিশীল করে তুলতে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারছেন না তাঁরা। তা ছাড়া বিরোধীদের অস্তিত্বও এখানে প্রায় মাইক্রোস্কোপিক। তাই ভোটে আবার জিতে এসে নিজেদের সাফল্যের রেকর্ডটা ভাঙাই এবারে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন-এক ঝাঁকুনিতেই সব ওলট-পালট হয়ে গেল, কান্নার রোল, উদ্ধারে গ্রামবাসীরা
ক্ষমতায় ফিরে বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মানুষকে কীভাবে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া যায় তার মোটামুটি একটা রূপরেখাও স্থির করে ফেলেছেন ২ প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত এবং কৃষ্ণা চক্রবর্তী। প্রতীক্ষা শুধু পরিকল্পনা রূপায়নের। প্রথমেই নিকাশি ব্যবস্থা একেবারে খোলনলচে বদলানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিধাননগরের জন্মের সময়,অর্থাৎ ৬০এর দশকের শেষের দিকে এবং ৭০এর দশকের গোড়ার সেই আদিম নিকাশি ব্যবস্থার কোনও সংস্কারই হয়নি দীর্ঘ বাম জমানায়। রাজারহাট-গোপালপুরে বাম আমলে খালের উপরেও অজস্র বেআইনি নির্মাণ হওয়ায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল নিকাশি ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন-শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহার
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান করলেও এবারে আমূল সংস্কারের পালা। ঢাকা দেওয়া হবে অনাবৃত নর্দমাও। ফলে কমবে মশার উপদ্রব,চওড়া হবে রাস্তা। দ্বিতীয়ত, শহরকে তারের জট বা কেবল-জঞ্জাল থেকে মুক্ত করার জন্য মাটির নিচে তৈরি করা হবে স্থায়ী কেবল-ডাক্ট। স্বাভাবিকভাবেই পর্যাপ্ত রাজস্ব আসবে পুরসভার কোষাগারে। তৃতীয়ত,আর যেখানে সেখানে হোর্ডিং নয়। পুরসভার নিয়ম মেনে টেন্ডারের মাধ্যমে লাগাতে হবে হোর্ডিং। সবথেকে বড় কথা, ১৯৭৭এর পরে সে অর্থে আর কোনও অ্যাসেসমেন্ট হয়নি বিধাননগরে। এবারে জনতার রায়ে ক্ষমতায় ফিরলে বিধাননগরবাসীকে এক সুষ্ঠু করকাঠামো উপহার দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ের ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী সব্যসাচী দত্তর মন্তব্য, ৪১-৪১ কিংবা ৪০-১ স্কোর এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।