অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : কোথাও কোনওরকম বড় জমায়েত না করেও প্রচারে যোজন দূরত্ব এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের কোভিড বিধি সংক্রান্ত নির্দেশ কঠোরভাবে মেনেই প্রত্যেক প্রার্থী তাঁদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। যাঁরা এবারই প্রথম প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা এলাকাবাসীর সঙ্গে পরিচিত হতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন গত বেশ কয়েকদিন ধরেই। পাশাপাশি যেসব পুরোনো প্রার্থীর এবার ওয়ার্ড পরিবর্তন হয়েছে তাঁরাও নতুন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে সমস্যার অনেকটাই সমাধান করলেও এবারে আমূল সংস্কারের পালা
হাতে গোনা কয়েকজন অনুগামীদের নিয়ে বিদায়ী বোর্ডের পুরপিতা ও পুরমাতারা প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষদের কাছে গিয়ে এলাকায় কী ধরণের উন্নয়ন প্রয়োজন, সে ব্যাপারে স্থানীয় বর্ষীয়ান নাগরিকদের কাছে পরামর্শ চাইছেন। রাস্তাঘাট সংস্কার থেকে নিকাশি ব্যবস্থা, পথবাতি লাগানো, জল সরবরাহের উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ সংবলিত লিফলেট দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে।
আরও পড়ুন-এক ঝাঁকুনিতেই সব ওলট-পালট হয়ে গেল, কান্নার রোল, উদ্ধারে গ্রামবাসীরা
প্রচারের অভিমুখ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের প্রার্থীদের আলাদা করে প্রচারের তেমন প্রয়োজন নেই, কারণ বছরের প্রতিটি দিনই আমাদের কর্মীরা ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের সুখ, দুঃখ আপদ বিপদে পাশে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা সাধারণ মানুষ কতটা পাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখেন দলের সকল স্তরের নেতা কর্মীরা। এ ছাড়া কোন ওয়ার্ডে ম্যারেজ হল কিংবা কম্যুনিটি সেন্টারের প্রয়োজন, সেগুলি এলাকা বাসীর সঙ্গে কথা বলেই স্থির করা হয়। সে কারণেই ভোটের সময় আলাদা করে জনসংযোগ গড়ে তোলার দরকার পড়েনা বলে জানান বিধানবাবু। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের মিডিয়া সেলের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রচার করা হচ্ছে। কোনও ওয়ার্ডে কারোর কোনও অভিযোগ থাকলে তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানানোর আবেদন রাখা হচ্ছে।