এবার সদর দফতরে কামান দাগলেন বিজেপির বিদ্রোহীরা। সোমবার সকাল থেকেই একের পর এক জেলায় দলের বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য নতুন মঞ্চ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ও পিআর ঠাকুর মঞ্চের পোস্টারে ছয়লাপ হয় এলাকা। সেখানে সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভকে দালাল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া আরও কটূক্তি। পোস্টার পড়ে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতর মুরলি ধর সেন লেনের অফিসেও।
কে বা কারা লাগিয়েছে তা বোঝার আগেই ক্ষমতাসীনদের মুখে ঝামা ঘষে বিদ্রোহীরা নিজেদের অস্তিত্ব জানিয়ে দেয়। অপ্রস্তুত বিজেপি শেষ পর্যন্ত লোক ভাড়া করে পার্টি অফিস এলাকার পোস্টার তুলেছে। যদিও তার আগে সকলের কাছে চলে গিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলের কাদা ছোড়াছুড়ির কেচ্ছা। সব দেখে মুচকি হেসেছেন দলের বঞ্চিত রাজ্য নেতারা।
আরও পড়ুন-দল বললে পুরভোটে লড়তে প্রস্তুত জাকির
সাত সকালেই দেখা যায় বিদ্রোহীদের পোস্টার। শ্যামবাজার থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ, বারাসত থেকে বনগাঁ হয়ে রানাঘাট। সব জায়গাতেই আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে সুকান্ত-অমিতাভ, সঙ্গে শুভেন্দু। কী লেখা সেই পোস্টারে? সেখানে লেখা, ‘বিজেপিকে শেষ করে নিজের আখের গোছানো যাবে না।’ কোথাও বা লেখা ‘পিকের টিমের দালাল অমিতাভ চক্রবর্তী দূর হটো।’ খোদ পার্টি অফিসের দেওয়াল বা চত্বরে বিদ্রোহীরা এই কীর্তি করবে তা ভাবাই যায়নি।
শেষে নিজেদের মান সম্মান ঢাকতে সেসব পোস্টার তুলতে লোক পাওয়া না গেলে ভাড়া করে লোক এনে সেসব তোলা হয়। যা দেখে বিদ্রোহীরা বলছেন, এতো সবে কলির সন্ধে, বিজেপির দালাল নেতাদের ঘোল খাইয়ে ছাড়ব। কত জায়গায় পোস্টার ছিঁড়বে? এবার নেতাদের বাড়ি বাড়ি পোস্টার পড়বে। তখন কারা ছিঁড়বে? ওদের সঙ্গে পাশের বাড়ির লোকটারও সদ্ভাব নেই! বিজেপির ভাঙনটা যে স্পষ্ট তা আর কেউ অস্বীকার করছেন না।