সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া : বিজেপিতে এবার হাওড়াতেও বিদ্রোহ। দলের ঠিক করে দেওয়া পুরভোট পরিচালনার কমিটির বৈঠকে গরহাজির অনেকেই। শনিবার ছিল কমিটির বৈঠক। সেখানে দলের অন্যতম নেতা মনোজ পাণ্ডের নেতৃত্বে অনেকেই আসেননি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের অধীনে অনেক পুরনো কর্মীই কাজ করতে চাইছেন না। ফের এই জেলাতেও ভাঙতে চলেছে বিজেপি। বালি, উত্তর হাওড়া, মধ্য হাওড়া সহ সদরের একাধিক এলাকা থেকে বহু বিজেপি কর্মী এবার তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিতে চলেছেন। এই ব্যাপারে তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলাস্তরের নেতাদের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগও করেছেন। তৃণমূলে আসতে চেয়ে অনেকে আবেদনও করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বালির নেতাদের নিয়ে মঙ্গলবার জেলা পার্টি অফিসে বৈঠকে বসছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা।
আরও পড়ুন – বিদ্রোহীদের পোস্টারে ছয়লাপ বিজেপির সদর দফতর, মান বাঁচাতে কী করলেন নেতারা?
সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘অনেকেই বিজেপি-সহ অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে আসতে চাইছেন। কিন্তু সবাইকেই আমরা নেব না। ওই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে মতামত নিয়ে আমাদের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনের ভিত্তিতেই তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হবে। তৃণমূলে আসতে চাই বললেই তাকে দলে নিয়ে নেওয়া হবে না। সবাইকে দলের নিয়ম মেনে নেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি বিজেপির হাওড়া সদরের প্রাক্তন সভাপতি সুরজিৎ সাহা প্রায় ১ হাজার কর্মী নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই ব্যাপারে সুরজিৎ সাহা জানান, বিজেপিতে আর কাজ করার মতো পরিস্থিতি নেই। পুরনো বিজেপি কর্মীদের দলে কোনও সম্মান নেই। এখন রাজ্য বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর দল হয়ে গেছে। দলের প্রবীণ নেতা-কর্মীদের কথার কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। একজনের কথাতেই সবকিছু চলে। এরই প্রতিবাদে হাওড়া থেকে আরও অনেকে বিজেপি ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) হাওড়া সদরের সভাপতি ও বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানান, ‘‘অনেকেই বিজেপি-সহ বিভিন্ন দল থেকে আমাদের দলে আসতে চাইছেন। কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে দলের নিয়ম ও রীতি মেনে তাঁদের যোগদান করানো হবে।’’