পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে (Charanjit Singh Channi) হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী চান্নি। তিনি জানান, তাঁকে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী চান্নি বলেছেন, ‘আমার উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। যাঁদেরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁরা আমায় বলেছে।’
আরও পড়ুন – রাজ্য বিজেপিতে ফের বিদ্রোহ, জেলা সভাপতি বদলের দাবিতে বেসুরো ৫ বিধায়ক
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইডি আয়কর হানা দিয়েছিল। বেআইনিভাবে বালি খাদান মামলায় মুখ্য়মন্ত্রী চন্নির আত্মীয়দের এলাকায় হানা দিয়েছিল ইডি। এই ঘটনার ঠিক পরেই আজ চান্নি এই অভিযোগ আনেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া যায়নি। আমার ভাইপোকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে। আমি জানি না এই মুহূর্তে ও এখন কোথায় আছে’।
মুখ্যমন্ত্রী চান্নি (Charanjit Singh Channi) কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে ইডি-র অভিযানের যোগসূত্র বের করে বলেছেন, তাঁর পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে ইডি অভিযান চালিয়েছে যেহেতু তিনি আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি। তিনি বলেছেন, ‘আমি কৃষকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করলে এই ঘটনা হয়ত ঘটত না। কিন্তু কেন্দ্র প্রয়োজন ছাড়াই কৃষক এবং পঞ্জাবের বদনাম করছে। পঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ সবসময় একটি বিপ্লবী রাজ্য’।
শেষে চরণজিৎ সিং চান্নি বলেছেন, ‘যখনই নির্বাচন এসেছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডি এবং আয়কর বিভাগকে অপব্যবহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার’। চান্নি ইডির এই হানা নিয়ে বাংলার উদাহরণ টেনেছিলেন। চন্নি বলেছেন, এই একই জিনিস বাংলার শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও হয়েছিল। ইডি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে আগামী মাসের ২০ তারিখ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফে ১৪ তারিখ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও বিরোধী ও শাসক শিবিরের ভোট পিছনোর দাবিতে শীলমোহর দেয় নির্বাচন কমিশন। তাঁদের দাবি মতন এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় পঞ্জাবের নির্বাচন। ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।