প্রতিবেদন : দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যাত্রীদের আরও ভদ্রসভ্য হওয়ার পাঠ শেখাতে উদ্যোগী হল রেল বোর্ড। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে যাত্রীদের নিজেদের ব্যবহারিক সৌজন্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি রেল বোর্ড নতুন কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকাগুলি পালনের জন্য যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি নজর রাখবেন রেলের আধিকারিক বা কর্মীরা।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরা বিজেপির কোন্দল ফের বিপ্লবকে তোপ সুদীপের
রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহযাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে রেলযাত্রায় কিছু ‘এটিকেট’ মেনে চলতে হবে। রাত ১০ টার পরে দূরপাল্লার ট্রেনে অযথা আলো জ্বালিয়ে রাখা যাবে না। এমনকী, গলা সপ্তমে তুলে জোরে জোরে কথা বা গল্পগুজব করা যাবে না রাত ১০টার পর। মোদ্দা কথা, ট্রেনকে বাড়ির বৈঠকখানা বানানো চলবে না। কোনও কারণ ছাড়াই পাশের যাত্রীর কথা না ভেবে হুটহাট করে জানলা খুলে দেওয়াও যাবে না। কারণ সেক্ষেত্রে অন্য যাত্রীদের বিশেষত বয়স্কদের সমস্যা হয়। প্রবীণ যাত্রীদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সি যাত্রীরা দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনওরকম সমস্যায় না পড়েন সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন রেল কর্মীরা। বয়স্কদের মতই বিশেষভাবে সক্ষম ও অসুস্থ যাত্রীদের যাত্রীদের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর রাখা হবে। খেয়াল রাখা হবে শিশু ও মহিলা যাত্রীদের দিকেও। মহিলা যাত্রীদের কোনও বিশেষ প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয়েও নজর রাখতে গাইডলাইনে পরামর্শ দিয়েছে রেলবোর্ড।
আরও পড়ুন-কিসান ক্রেডিট কার্ড মৎস্যজীবীদের
শুধু নির্দেশ দেওয়াই নয়, প্রত্যেক রেলযাত্রী যাতে এই নির্দেশ মেনে চলেন সে বিষয়ে রেল কর্মীদের উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। কোনও যাত্রী যদি নিয়ম ভেঙে ১০টার পরে অযথা আলো জ্বেলে রাখেন, বা জোরে জোরে কথা বলতে থাকেন তবে রেল কর্মীরাই তাঁদের বিনয়ীভাবে বিষয়টি বোঝাবেন। একইভাবে অসুস্থ, বয়স্ক এবং বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের প্রতিও রেলকর্মীদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। আপাতত কোনও জরিমানার পথে না হেঁটে বুঝিয়ে সবক শেখানোর পথে হাঁটতে চায় রেল বোর্ড।